এবারের বিশ্বকাপ ফাইনালেও ২০১৯ সালের অবস্থা হলে কী হবে?

এবারের বিশ্বকাপ ফাইনালেও ২০১৯ সালের অবস্থা হলে কী হবে?

এবারের বিশ্বকাপ ফাইনালেও ২০১৯ সালের অবস্থা হলে কী হবে?

২০১৯ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের নাটকীয় ফাইনালের স্মৃতি আজও তাজা ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ম্যাচ টাই হওয়ার পর ফলাফল নির্ধারণের জন্য সুপার ওভারে গড়ায় লড়াই। তবে সুপার ওভারেও ম্যাচ টাই হয়। বাউন্ডারি কাউন্টে (বেশি বাউন্ডারি মারার জন্য) ম্যাচ জিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।

বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে এভাবে হারতে হওয়ায় বিস্তর সমালোচনা হয়। এবার ফের আইসিসি ইভেন্টে সম্মুখসমরে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। এবার লড়াই টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, এবারো যদি একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়, অর্থাৎ, সুপার ওভারেও ম্যাচ টাই হলে কী হবে? একইভাবে বাউন্ডারি কাউন্টে ফলাফল নির্ধারিত হবে? নাকি নিয়ম বদলেছে আইসিসি?

উল্লেখ্য, অপর সেমিফাইনালে মুখোমুখি লড়াইয়ে নামবে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া।

টি-২০ ক্রিকেটের স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ম্যাচ টাই হলে সুপার ওভারে ফলাফল নির্ধারিত হবে। সুপার ওভারেও ম্যাচ টাই হলে পুনরায় সুপার ওভার আয়োজিত হবে। এক্ষেত্রে বিতর্ক থেকে শিক্ষা নিয়ে নিয়ম বদল করেছে আইসিসি।

যতক্ষণ না ফলাফল নির্ধারিত হবে, সুপার ওভার আয়োজিত হবে। আইসিসির তরফে আনলিমিটেড সুপার ওভারের কথা জানানো হলেও প্রথম সুপার ওভারের আগে ম্যাচ রেফারি দুই ক্যাপ্টেনকে জানিয়ে দিতে পারেন, পরপর টাই হতেই থাকলে সর্বাধিক কতগুলো সুপার ওভার আয়োজন করা হবে। এক্ষেত্রে বিশেষ পরিস্থিতির কথাই উল্লেখ রয়েছে আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, রাতের ম্যাচে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর ফ্লাড লাইট বন্ধ করতেই হয়। এক্ষেত্রে অসংখ্য সুপার ওভার আয়োজনের ক্ষেত্রে তেমন কোনো বাধা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই ম্যাচ রেফারি সিদ্ধান্ত নেবেন।

তবে বৃষ্টিতে বা নির্ধারিত সময়সীমার পরে সুপার ওভার আয়োজন করা না গেলে বা নির্ধারিত দিন এবং রিজার্ভ ডে’তেও ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে সুপার টুয়েলভে যে দল এক নম্বরে শেষ করেছে, তারা ফাইনালের টিকিট হাতে পাবে। সুতরাং, সেমিফাইনাল ম্যাচগুলো ভেস্তে গেলে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান ফাইনালে উঠে যাবে।

উল্লেখ্য, সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে বরাদ্দ রয়েছে। প্রথম দিনে পরিস্থিতি প্রতিকূল হলে ওভার সংখ্যা কমিয়ে ন্যূনতম ৫ ওভারের ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করা হবে। যদি তাও সম্ভব না হয় তবে ম্যাচ গড়াবে রিজার্ভ ডে’তে। প্রথম দিন ওভার সংখ্যা কমিয়ে ম্যাচ শুরু হওয়ার পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে গেলে রিজার্ভ ডে’তে ঠিক তার পর থেকে খেলা শুরু হবে। নতুন করে প্রথম থেকে ম্যাচ আয়োজিত হবে না।

সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস