চট্টগ্রাম টেস্ট : প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রানে অল আউট বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম টেস্ট : প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রানে অল আউট বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম টেস্ট : প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রানে অল আউট বাংলাদেশ

সফরকারী পাকিস্তানের সাথে দু-ম্যাচ টেস্ট সিরিজে চট্রগ্রামে প্রথমে টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রানে অল আউট হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩৩ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। প্রথম উইকেটের পতন হয় ১৯ রানের মাথায়। সাইফের বিদায়ে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। শাহীন শাহ আফ্রিদির শিকার হন সাইফ হাসান। এরপর হাসান আলীর বলে এলবিডাব্লিউ হন সাদমান ইসলাম। রিভিউ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু উইকেট বাঁচাতে পারেননি। অষ্টম ওভারে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে ৩৩ রানে। ২৮ বলে ১৪ রান করেন সাদমান। এর পরে অধিনায়ক মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত বেশিখন ক্রিচে থিতো হতে পারিনি।

বাংলাদেশ ২২ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৬৪ রান করে। পঞ্চম উইকেটে ৪২৫ বলে ২০৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলতে বিপদ থেকে রক্ষা করে মুশফিক ও লিটন। প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮৫ ওভারে ২৫৩ রান।

লিটন দাস পান প্রথম শতকের দেখা, মুশফিকও হাটছিলেন একই পথে। তবে দ্বিতীয় দিনের সকালেই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ গুঁড়িয়ে দিয়েছে সফরকারী বোলাররা।

দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ওভারেই লিটন দাসকে ১১৪ রানে ফেরান হাসান আলী। ৮৭তম ওভারের শেষ বলে হাসান আলীর বলে এলবিডব্লুর আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। শেষ পর্যন্ত রিভিউ নিলে লিটনকে ১১৪ (২৩৩) রান করে ফিরতে হয়েছে সাজঘরে। এর মধ্য দিয়ে ভাঙল লিটন-মুশফিকের ২০৬ (৪২৫) রানের লম্বা জুটি।

লিটন ফিরলেও আগের দিন ৮২ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক হাটছিলেন শতকের পথেই। কিন্তু তিনিও হতাশ করেছেন নার্ভাস নাইন্টিতে। ৯১ রানের মাথায় উইকেট রক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দেন ফাহিম আশরাফের বলে। যদিও আউট হওয়া নিয়ে কিছুটা সন্দিহান ছিলেন, নিয়েছিলেন রিভিউ। কিন্তু বাঁচা গেল না।

লিটন-মুশফিকের বিদায়ের পর মেহেদী হাসান মিরাজ আগলে রাখেন একপাশ। তবে অন্য প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে পড়তে থাকে উইকেট। দলীয় ৩০০ রান পার করার পর তাইজুল ইসলামকে ১১ (২৮) রানে বিদায় করেন শাহিন আফ্রিদি। এরপর আবু জায়েদকে ৮ রানে ফেরান হাসান আলী। এবাদত হোসেনকে শূন্যতে বিদায় করে ষষ্ঠবার পাঁচ উইকেট শিকার করেন হাসান। মিরাজ অপরাজিত থেকে গেছেন ৩৮ (৬৮) রানে। পাকিস্তানের পক্ষে ৫ উইকেট নেন হাসান আলী, ২টি করে নিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফ। ১ উইকেট নিয়েছেন সাজিদ খান।