রূপপুর এনপিপি’তে কর্মরত বাংলাদেশীরা স্পুটনিক ভ্যাক্সিন পেলেন

রূপপুর এনপিপি’তে কর্মরত বাংলাদেশীরা স্পুটনিক ভ্যাক্সিন পেলেন

রূপপুর এনপিপি’তে কর্মরত বাংলাদেশীরা স্পুটনিক ভ্যাক্সিন পেলেন

দেশের একমাত্র রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে নিয়োজিত হাজার হাজার বাংলাদেশীদের সুরক্ষা প্রদান এবং প্রকল্পের কাজ নিরবিচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে নিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে রসাটমের প্রকৌশল শাখার অধীনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বাংলাদেশীদের স্পুটনিক ভ্যাক্সিন প্রদান করা হয়েছে।

এটমস্ত্রয়েক্সপোর্ট (এএসই) তার নিজস্ব তহবিল থেকে ৩,৫০০ ডোজ স্পুটনিক ভ্যাক্সিন ক্রয় করে রূপপুর প্রকল্প সাইটে পাঠানোর পর বাংলাদেশীদের জন্য টিকাদান কর্মসূচি পালিত হয়। বাংলাদেশী চিকিৎসকরা এই কর্মসূচির দায়িত্বে ছিলেন। ইতোপূর্বে ১,৭০০ বাংলাদেশীকে এই টিকা প্রদান করা হয়।রোববার (২৮ নভেম্বর ) এনপিপির এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

স্থানীয়ভাবে আরো ১০,০০০ ডোজ ভ্যাক্সিন সংগ্রহ এবং রূপপুর এনপিপি সাইটের কাছাকাছি কোন স্থানে একটি ভ্যাক্সিনেশন সেন্টার স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এর ফলে প্রকল্পে কর্মরতদের মধ্যে ন্যূনতম ৮০ শতাংশ মাত্রার ‘হার্ড ইমিউনিটি’ অর্জন সম্ভব হবে।

একই সঙ্গে প্রকল্পে কর্মরত রুশ এবং সিআইএস ভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের বুস্টার ডোজ প্রদানের কাজও এগিয়ে চলছে। এর জন্য অতিরিক্ত আরো ৭৫০ ডোজ ভ্যাক্সিন আনা হয়েছে এবং এ জন্য একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল বাংলাদেশে অবস্থান করছে।

এএসই ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং রূপপুর এনপিপি নির্মান প্রকল্প পরিচালক আলেক্সি দেইরি-র মতে এমপ্লয়ীদের সুরক্ষা প্রদান এবং প্রকল্পের কাজ নিরবিচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে নিতে এই পদক্ষেপগুলো জরুরী। তিনি আরো জানান, “রসাটমের আন্তর্জাতিক প্রকল্পগুলোর মধ্যে যেখানে প্রথম দিকে (৬ মাসেরও অধিক সময় পূর্বে) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। বুস্টার ডোজ প্রদানের ক্ষেত্রেও আমরা প্রথম সারিতে অবস্থান করছি। বাংলাদেশীদেরও টিকা গ্রহণের সুযোগ করে দিতে পারছি। আমরা আমাদের পেশাগত ও সামাজিক দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে টিকাদান অন্যতম ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা মনে করি”।