আবরার হত্যা মামলায় ২০জনের মৃত্যুদন্ডে সন্তুষ্ট পরিবার

আবরার  হত্যা মামলায় ২০জনের মৃত্যুদন্ডে সন্তুষ্ট পরিবার

আবরার ফাহাত হত্যা মামলায় ২০জনের মৃত্যুদন্ডে সন্তুষ্ট পরিবার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়ে ২০জনকে মৃত্যুদন্ড। আলোচিত এই হত্যা মামলার রায়ের তারিখ ২৮ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল ঘোষণা করলেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় ঘোষণার জন্য আজ ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাত হত্যা মামলার রায়ে সন্তুষ্ট তার পরিবার। দ্রুত রায় বাস্তবায়নের দাবি জানান আবরার ফাহাদের পরিবার। রায়ের জন্য নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ঢাকায় থাকায় কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার পিটিআই রোডস্থ বাসায় নিহতের মা মোছাঃ রোকেয়া খাতুন জানান,এই রায়ে তারা সন্তুষ্ট। তবে বুয়েটের ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহার  যাবজ্জীবন রায়ে অসন্তসের পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে পলাতক আসামীদের আইনের আয়তায় এনে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের  রায় কার্যকরের দাবি জানান তিনি। নিহত আবরারের পরিবার আরো জানান এই রায় কার্যকর হলে এটা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে যাতে এধরনের ঘটনা অন্য কোথাও না ঘটে।

উল্লেখ্য, ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবিদের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় ঘোষণার জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করলেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বচিারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় ঘোষণার জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। গত ২৪ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে পলাতক তিন আসামিসহ ২৫ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবি করেন। এরপর গত ২৫ অক্টোবর থেকে এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ওইদিনই রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবিদের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আজ এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রায় ঘোষনা করেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ।

ছেলে হারানোর বেদনা এখনও ভুলতে পারেননি আবরারের মা। শেষ দিন ঢাকায় যাওয়ার সময় ছোট ভাইকেও বলেছিল ঢাকায় চলে আসতে সে সব কথা এখন শুধুই স্মৃতি আবারারের পরিবারের কাছে।