হংকংয়ে তিন গণতন্ত্রকামী দোষী সাব্যস্ত

হংকংয়ে তিন গণতন্ত্রকামী দোষী সাব্যস্ত

হংকংয়ে তিন গণতন্ত্রকামী দোষী সাব্যস্ত

চীনের বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন চত্বরে ১৯৮৯ সালে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সমাবেশ আয়োজনের ডাক দেয়ায় হংকংয়ের তিন গণতন্ত্রকামী অ্যাক্টিভিস্টকে দোষী সাব্যস্ত করেছে হংকংয়ের একটি আদালত।

সোমবার তাদের শাস্তির বিষয়ে জানানো হবে। ওই তিনজন হলেন, গণমাধ্যম ব্যবসায়ী জিমি লাই, ব্যারিস্টার চাও হাং-টুং ও বিরোধী রাজনীতিবিদ গুইনেথ হো।তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অনুমোদন না পাওয়ার পরও তারা গতবছর ৪ জুন সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন। সাধারণত হংকংয়ে প্রতিবছর ৪ জুন তিয়েনআনমেন চত্বরে বিক্ষোভের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। তবে গতবছর করোনার কারণ দেখিয়ে অনুমতি দেয়া হয়নি। এ বছরও অনুমোদন মেলেনি।

বিচারক আমান্দা উডকক তার রায়ে লিখেছেন, লাই ও চাও যে অন্যদের সমাবেশে অংশ নিতে উসকে দিয়েছিলেন সেটা তদন্তকারীরা ‘সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ’ করতে পেরেছেন।ব্যারিস্টার চাও সমাবেশস্থল ভিক্টোরিয়া পার্কসহ পুরো হংকংয়ে ‘মোমবাতি জ্বালানোর’ আহ্বান জানিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়।আর জিমি লাই ভিক্টোরিয়া পার্কে ১৫ মিনিট ছিলেন, যেটা ‘সমাবেশের পক্ষে ইচ্ছাকৃত সমর্থন’ বলে জানান বিচারক উডকক।

অধুনালুপ্ত ‘হংকং অ্যালায়েন্স ইন সাপোর্ট অফ প্যাট্রিয়টিক ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্টস ইন চায়নার’ নেতা ব্যারিস্টার চাও বিচার চলার সময় বলেন, বার্ষিক ওই সমাবেশ আয়োজন ‘তাদের অধিকার, তাদের স্বাধীনতা’।তিয়েনআনমেন চত্বরে বিক্ষোভের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চীনে কোনো কিছু করা ট্যাবু। সে কারণে জেল হতে পারে। বিরোধী রাজনীতিবিদ গুইনেথ হো আদালতকে বলেছিলেন, তিনি ৪ জুন সমাবেশে গিয়েছিলেন এটা দেখতে যে, চীন ও হংকংয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে কি না।একই অভিযোগে ইতোমধ্যে ১৬ জন অ্যাক্টিভিস্টকে চার থেকে ১০ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

২০১৯ সালে হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভের পর চীন জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাস করে। এতে নাশকতামূলক তৎপরতা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী অপরাধের শাস্তি সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় ব্যারিস্টার চাওসহ তার অধুনালুপ্ত দলের সাবেক কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে নাশকতামূলক তৎপরতা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে