অভাব দূর হওয়ার আমল

অভাব দূর হওয়ার আমল

প্রতীকী ছবি

কাউকে গরিব আর কাউকে স্বাবলম্বী কিংবা ধনী— আল্লাহ তাআলা এভাবেই মানুষকে বানিয়েছেন। দুনিয়ার ব্যবস্থাপনা ও স্বাভাবিক গতি ঠিক রাখতে তিনি বিভিন্ন স্তর ও পেশা দিয়ে মানুষের শ্রেণী-বিভিন্নতা তৈরি করেছেন। এটা তার একান্ত মর্জি ও ইচ্ছা, এখানে কারও ভালো লাগা ও না লাগা— গ্রহণযোগ্য নয়।

স্বাভাবিকতই গরিব ও দরিদ্ররা  তুলনামূলকভাবে বেশি অর্থকষ্টে ভোগে। সামান্য প্রয়োজনটুকু পূরণ করতে পারে না, এমন লোকের সংখ্যা আমাদের সমাজে ও দেশে অভাব নেই। আর অভাবী মানুষের অভাব দূর করার জন্য পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বহু আমলের কথা এসেছে। এখানে ৪টি আমল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

অভাব দূর হওয়ার দোয়া

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বেশি বেশি এই দোয়াটি পাঠ করবে, তার অভাব দূর হয়ে যাবে।

দোয়াটি হলো

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফাকরি, ওয়াল কিল্লাতি, ওয়াজজিল্লাতি, ওয়া আউজুবিকা মিন আন আজলিমা আও উজলামা।

অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দরিদ্রতা থেকে। এবং আপনার কম দয়া থেকে ও অসম্মানী থেকে। এবং আমি আপনার কাছে আরও আশ্রয় চাচ্ছি— কাউকে জুলুম করা থেকে অথবা কারও দ্বারা অত্যাচারিত হওয়া থেকে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৫৪৪)

ইস্তেগফার পড়লে অভাব দূর হয়

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন— ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইসতেগফার করবে (আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বিউ ওয়াতুবু ইলাইহি) আল্লাহতায়ালা তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের সংস্থান করে দেবেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১৫১৮ )

আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্কে রিজিকে বরকত

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি প্রিয় নবীকে (সা.) বলতে শুনেছি— ‘যে ব্যক্তি তার জীবিকা প্রশস্ত করতে চায় এবং তার আয়ু বাড়াতে চায়, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৫)

নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা

বান্দা যখন নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে, তখন আল্লাহ তাআলা তার প্রতি খুশি হন। বিপদ-আপদ ও অভাব-অনটন দূর করার পাশাপাশি নেয়ামত বৃদ্ধি করে দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয়ই আমার আজাব বড় কঠিন।’ (সুরা ইবরাহিম, আয়াত : ০৭)