যশোর আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজে ফিস্টুলা রোগ নির্ণয় কর্মসূচীর উদ্বোধন

যশোর আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজে ফিস্টুলা রোগ নির্ণয় কর্মসূচীর উদ্বোধন

যশোর আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজে ফিস্টুলা রোগ নির্ণয় কর্মসূচীর উদ্বোধন

যশোর আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজে ফিস্টুলা রোগ নির্ণয় কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়েছে।রোববার আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশন ও আদ্-দ্বীন ওয়েল ফেয়ার সেন্টারের যৌথ উদ্দ্যোগে মেডিকেল কলেজের লেকচার গ্যালারীতে এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহম্মেদ।

আদ্-দ্বীন ওয়েল ফেয়ার সেন্টারের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন,আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ সমূহের চেয়ারম্যান ডাঃ শেখ মহিউদ্দিন,স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকত,সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ আবু শাহীন,আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ সমুহের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ নাহিদ ইয়াসমিন,আদ-দ্বীন ওয়েল ফেয়ার সেন্টারের পরিচালক ফজলুল হক।

প্রধান অতিথি ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আদ্-দ্বীন আমার পাশে থাকলে আমার মনে হয় যেকোন ক্ষেত্রে আমি আরও কঠিনভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবো। সুষ্ঠু দিক নির্দেশনা ছাড়া কোন কাজ হয়না। ভিষণ ছিলো বলেই আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ সমূহের চেয়ারম্যান ডাঃ শেখ মহিউদ্দিন ভাই আদ-দ্বীন নিয়ে একের পর এক এগিয়ে যাচ্ছেন। উনি আরও একটি মেডিকেল কলেজ তৈরীর চিন্তা করছেন। যদি আমরা শিক্ষক দিতে পারি সেখানেও মেডিকেল কলেজ করার ব্যাপারে বাধা থাকার কথা না। আমরা টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেবো। আর উনি বাকি সাপোর্ট দেবেন। আমরা এই ফিস্টুলা সেক্টরে সেটা করতে চাই,নেগলেক্টেড ডিজিজ সেন্টারেও সেটা বঙ্গবন্ধু বিশ^বিদ্যালয় আদ্-দ্বীনের সহায়তায় আমরা এটা শুরু করলাম।

তিনি আরও বলেন,ফিস্টুলা ফ্রী বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আজকের এই উদ্দ্যোগ সফল হবে। মেডিকেল শিক্ষার মান উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি আপনাদের সকলের সহযোগীতা চাই। 

আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডাঃ শেখ মহিউদ্দিন বলেন,চিকিৎসক ছাড়া যেমন ডাক্তারি বিদ্যা সম্ভব না,আবার সেবিকা ছাড়াও ডাক্তারি বিদ্যা সম্ভব না। মাঠে যারা কাজ করছেন তারা যদি ফিস্টুলা রোগীদের সনাক্ত করে না আনতো তাহলে ফিস্টুলা রোগীকে আমরা সেবা দিতে পারতাম না। আমার এই মেডিকেল কলেজ শারফুদ্দিনে হাত দিয়ে হয়েছে। আমি আশাও করিনি একটি মেডিকেল কলেজ করতে পারবো। তার হাত দিয়ে ২ টি মেডিকেল কলেজের পারমিশন হয়েছিলো । পোষ্ট গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি দেয়ার জন্য তিনি আজ এখানে এসেছেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় মানুষের চিকিৎসা সেবার একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে এবং এর সাথে আমরা থাকবো। গত বছর আমরা একদম ফ্রী চোখের ছানি অপারেশন করে দিয়েছি। শুধুমাত্র করোনার কারনে কাজ পিছিয়েছে। বাংলাদেশে আর কেউ এই ধরণের অপারেশন বিনা মূল্যে করেনি।

ফিস্টুলা রোগের সেবা নিতে আসা এক রোগী অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বিনামূল্যে আমাদের ফিস্টুলা রোগের সেবা প্রদান করায় আদ্-দ্বীনের প্রতি কৃতজ্ঞ। দরিদ্ররা বিনা মূল্যে সেবা পেলে দেশের কেউই চিকিৎসা সেবা বঞ্চতি হবে না।

অনুষ্ঠান শেষে আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ সমূহের চেয়ারম্যান ডাঃ শেখ মহিউদ্দিন৬ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু উচ্চ শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করেন।