অবৈধ বিড়ি-সিগারেটের ফ্যাক্টরি বন্ধের নির্দেশ

অবৈধ বিড়ি-সিগারেটের ফ্যাক্টরি বন্ধের নির্দেশ

ফাইল ছবি

সারাদেশে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা বিড়ি-সিগারেটের ফ্যাক্টরি অবিলম্বে বন্ধ এবং জিনিসপত্র জব্দে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে অবৈধ বিড়ি-সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ রফিকুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ রোবাইয়েত ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

 এছাড়া স্বাস্থ্য, বন ও পরিবেশ, শিল্প, শ্রম ও স্বরাষ্ট্র সচিব, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়ক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বয়লারের প্রধান পরিদর্শক এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) মহাপরিদর্শককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, স্থানীয় বেশ কয়েকটি তামাক উৎপাদনের কারখানা রয়েছে। সেগুলো হলো- কিশোরগঞ্জের হেরিটেজ, তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো, চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো, মানিকগঞ্জের বিউটি টোব্যাকো, গাজীপুরের ভার্গো, কুষ্টিয়ায় এইচআরএস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও এএলএম টোব্যাকো, রংপুরের এসডি টোব্যাকো লিমিটেড, নরসিংদীর ব্ল্যাক টোব্যাকো কোম্পানি, নোয়াখালীর ইনডিপেন্ডেন্ট টোব্যাকো, বগুড়া টোব্যাকো, এবি টোব্যাকো, নাটোরের সামির টোব্যাকোসহ মোট ১৮টি।

ব্যারিস্টার শেখ রোবাইয়েত ইসলাম জানান, সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। আইন লঙ্ঘন করে এসব স্থানীয় কম্পোনিগুলো যদি এভাবে সিগারেট-বিড়ি উৎপাদন করতে থাকে তাহলে সে লক্ষ্য পূরণ সম্ভব না। তাছাড়া এভাবে বিড়ি-সিগারেটের উৎপাদন পরিবেশ-প্রতিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করছে। আদালত অবিলম্বে এসব কারখানা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে, সারাদেশে অবৈধ বিড়ি সিগারেট ফ্যাক্টরি নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন মাদকদ্রব্য ও নেশাবিরোধী কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পারভীন আক্তার। সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এই আদেশ দিলেন হাইকোর্ট।