সূর্যের বলয়ে নাসার যান

সূর্যের বলয়ে নাসার যান

সূর্যের বলয়ে নাসার যান

সূর্যের বলয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছে নাসার যান পার্কার। এর ফলে সূর্যের চুম্বকীয় ক্ষেত্র নিয়ে বহু তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।২০১৮ সালে পৃথিবী থেকে সূর্যের দিকে রওনা হয়েছিল নাসার সৌরযান পার্কার। সূর্যের সবচেয়ে কাছে তা পৌঁছে গেছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।নাসার তরফে বলা হয়েছে, এর আগে সূর্যের এত কাছে কোনো যান পৌঁছাতে পারেনি। সূর্যের বলয়ের মধ্যে ঢুকে তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে পার্কার।

সূর্যের বলয়ের নাম করোনা। প্রবল উত্তাপ সেখানে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পার্কার যেখানে পৌঁছেছিল সেখানে উত্তাপ দুই মিলিয়ন কেলভিন। অর্থাৎ, ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭২৬ দশমিক আট পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই উত্তাপে সেকেন্ডে এক শ’ কিলোমিটার বেগে করোনার ভিতর তথ্য সংগ্রহ করেছে পার্কার। গত এপ্রিল মাসে পার্কার প্রথম সেখানে পৌঁছাতে পেরেছিল বলে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন। সেই সময় পার্কার যে তথ্য সংগ্রহ করেছিল, এতদিনে তা বিজ্ঞানীদের হাতে এসে পৌঁছেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা মঙ্গল গ্রহে হেলিকপ্টার উড়িয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছে। হেলিকপ্টারটি পৃথিবী থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

নাসার বিজ্ঞানীদের ধারণা, এর মধ্যে অন্তত তিনবার সূর্যের বলয়ের মধ্যে ঢুকেছে পার্কার। সব মিলিয়ে দশবার সূর্যের বলয়ে যানটি প্রবেশ করবে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। ২০২৫ সাল পর্যন্ত পার্কার তার অন্বেষণ চালিয়ে যাবে।

সূর্যবিজ্ঞানের ইতিহাসে পার্কারের এই কাজ অভূতপূর্ব। এর আগে কোনো যান সূর্যের এত কাছে পৌঁছাতে পারেনি। সূর্যের চুম্বকীয় ক্ষেত্রের বিষয়ে এত তথ্যও এর আগে বিজ্ঞানীদের হাতে আসেনি। কীভাবে সূর্য গোটা সৌরমণ্ডলকে চালিত করে, সে বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পার্কারের তথ্য থেকে মিলবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

সূত্র : ডয়চে ভেলে