পাবনা সরকারি গ্রন্থাগারে পাঠক নেই, ইন্টারনেটে বাজে সাইট ব্রাউজ করছে শিক্ষার্থীরা

পাবনা সরকারি গ্রন্থাগারে পাঠক নেই, ইন্টারনেটে বাজে সাইট ব্রাউজ করছে শিক্ষার্থীরা

পাবনা সরকারি গ্রন্থাগারে পাঠক নেই, ইন্টারনেটে বাজে সাইট ব্রাউজ করছে শিক্ষার্থীরা

পাবনা সরকারি গ্রন্থাগারের পাঠকের অভাবে লাইব্রেরীটি একদিকে যেমন নিস্তব্ধ হয়ে আছে; অপরদিকে  কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থীরা বই পড়ার পরিবর্তে ভিড় করছে ইন্টানেটে বাজে সাইট (অনৈতিক সাইট) ব্রাউজ করতে। ফ্রি ইন্টারনেট পেয়ে মোবাইলে অনৈতিক বিষয়ে আসক্ত হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। পাঠকের নামে আসা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের চেঁচামেচিতে লাইব্রেরীর পরিবেশ নষ্ঠ হচ্ছে।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর ) দুপুরে পাবনা সরকারি গ্রন্থাগারে গিয়ে দেখা যায় দায়িত্বশীল কেউ  নেই। কয়েকজন শিক্ষার্থী মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে গেম খেলছে এবং বাজে সাইট দেখছে, এরা কেউই বই বা প্রত্রিকা পড়ছে না। এদের কারোর সামনেই বই নেই। কিছুক্ষণ পর লইব্রেরীর একজনকে পাশের রুমে পাওয়া গেল ওনাকে বিষয়টি বললে ঐসব শিক্ষার্থীদেরকে বের করে দেয়। ঐ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানাগেল তারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী। ফ্রি ইন্টানেট পেয়ে প্রায়ই তারা এখানে আসেন।

জামিল হোসেন(৩৭) নামের একজন পাঠক জানান, এখানে কয়েকজন ছেলে এসে মোবাইলে গেম খেলছে,বাজে সাইট দেখছে এবং চেঁচামেচি করছে। এদের কারণে লাইব্রেরীতে পড়ার পরিবেশ  নষ্ঠ হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উচিত এদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া।

এ ব্যাপরে সহকারী লাইব্রেরীয়ান এনামুল হকের সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি জানান,‘আমি লাঞ্চের জন্য বাসায় এসেছি। পাঠকরা লাইব্রেরীতে খুবই কম আসে। সরকারি সিদ্ধান্তে পাঠকদের সুবিধার্থে ইনটারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে। পাঠকরা ফ্রি ইন্টারনেট পেয়ে ব্রাউজ করে। তবে আমরা খেয়াল রাখি তারা যেন অনৈতিক কিছু  না দেখে।

পাবনা বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী বলেন,‘এক সময় পাবনা সরকারি গ্রন্থাগারে ব্যাপক সংখ্যক পাঠক ছিলেন। বর্তমানে যে জায়গায় সরকারি লাইব্রেরী করা হয়েছে সেটা শহরের সম্পূর্ণ । শহরের বাইরে হওয়ায় সেখানে পাঠক  নেই। এতে পাবনার মানুষ লাইব্রেবীর সুবিধা থেকে সম্পূর্ণরুপে বি ত হচ্ছে।

পাঠক ধরে রাখার জন্য ফ্রি ইন্টারসেবা দেয়া হচ্ছে এই সুযোগে যুবসমাজ অনৈতিক সাইট ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্তদের সচেতন থাকা উচিৎ; যাতে শিক্ষার্থীরা ইন্টানেটের মাধ্যমে বাজে বিষয়ে ব্রাউজ না করে। পরিবেশ ভালো না হলে পাঠকদের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। লাইব্রেরীটি শহরের প্রাণকেন্দ্রীক করার দাবি জানিয়েছেন পাবনাবাসী।