রাসেলের ঝড়ো ও রিয়াদের দায়িত্বলী ব্যাটিং এ জয় পেল ঢাকা

রাসেলের ঝড়ো  ও রিয়াদের দায়িত্বলী ব্যাটিং এ জয় পেল ঢাকা

রাসেলের ঝড়ো ব্যাটিং ও রিয়াদের দায়িত্বলী ব্যাটিং এ জয় পেল ঢাকা

১৩০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে টপ অর্ডারের ৪টি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মিনিষ্টার ঢাকা। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দ্বাতিত্বশীল ব্যাটিং ও এন্ড্রু রাসেলের ঝড়ো ব্যাটিং এর সুবাদের  ৪ উইকেট ও ১৫ বল হাতে রেখে বিপিএলের এবারের আসারে প্রথমে জয়ের দেখা পায় তারাকা বহুল দল ঢাকা।

  এর আগে টসে হেরে  ব্যাট করতে নেমে শুরুতে উইকেট হরিয়ে চাপে পড়ের যায় বরিশাল গেইলের  ৩৬ সাকিবের ২৩ ও ব্রভোর ৩৩ রানের সুবাধে ১২৯ রানের লড়াকু স্কোর পায় সাকিবের বরিশাল।

বরিশালের জবাব দিতে নেমে শুরুটা হতশ্রী হয় ঢাকার। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে পেসার শফিকুলকে তুলে মারতে গিয়ে বলের লাইন হারান তামিম। বল সরাসরি আঘাত করে স্টাম্পে। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে ফরম্যাটের অধিনায়ক। পরের ওভারে জোড়া আঘাত বরিশালের পেসার আলজারি জোসেফের। নাঈম শেখকে লেগবিফোরের ফাঁদে ফেলার পর জহুরুল ইসলামকে বোল্ড করেন তিনি।

নাঈম ৪ ও জহুরুল ০ রানে আউট হওয়ার পর ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদও একই পথ ধরেন শফিকুলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে। ৭ বল খেলে ৫ রান করেন তিনি। দলীয় ১০ রানের কোটা ছুঁতেই ৪ উইকেট হারানো ঢাকার মাথায় তখন হ্যাটট্রিক হারের শঙ্কা। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও শুভাগত হোক। পঞ্চম উইকেটে দুজন যোগ করেন ৬৯ রান।

শুভাগত ২৫ বলে ২৯ রান করে ব্রাভোর বলে আউট হলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ আর আন্দ্রে রাসেল। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বরিশালকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন রাসেল। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে ফিফটির দিকে ছুলছিলেন মাহমুদউল্লাহ, তবে স্কোর লেবেল করে সাজঘরে ফেরেন ৪৭ রানে।

পরে ৪ উইকেট এবং ১৫ বল হাতে রেখেই কাঙ্ক্ষিত ১৩০ রানে পৌঁছে যায় ঢাকা। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রাসেল অপরাজিত থাকেন ৩১ রানে। ১৫ বলের ইনিংসটি সাজান ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মারে।