সাবেক সেই মুসলিম মন্ত্রীর অভিযোগ তদন্তের আদেশ

সাবেক সেই মুসলিম মন্ত্রীর অভিযোগ তদন্তের আদেশ

সাবেক সেই মুসলিম মন্ত্রীর অভিযোগ তদন্তের আদেশ

সাবেক ব্রিটিশ পরিবহনমন্ত্রী নুসরাত গনির অভিযোগের জেরে তা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এর আগে রোববার ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য সানডে টাইমসের সাথে এক সাক্ষাতকারে নুসরাত গনি অভিযোগ করেন, ২০২০ সালে মুসলমান হওয়ার কারণেই তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার দফতরের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন পার্লামেন্ট সদস্য নুসরাত গনির অভিযোগ তদন্ত করার।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন। তিনি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রকৃতপক্ষে কী হয়েছে তা তদন্তের জন্য।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই তদন্তের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন নুসরাত গনি। এর আগে তার অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার সন্ধ্যায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তার সাথে আলোচনা করেন।

তদন্তের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে সোমবার এক টুইট বার্তায় নুসরাত গনি বলেন, ‘গত রাতে প্রধানমন্ত্রীকে আমি যা বলেছি, আমি শুধু বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে তা তদন্তের জন্য বলেছিলাম।’

এর আগে নুসরাত গনির অভিযোগের জেরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তাকে দলে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু নুসরাত গনি তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, এই ঘটনা দলীয় নয় বরং সরকারি কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত।

এর আগে রোববার উইলডেন জেলার পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই রাজনীতিবিদ ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য সানডে টাইমসের সাথে সাক্ষাতকারে অভিযোগ করেন, ২০২০ সালে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের সময় মুসলমান হওয়ার কারণেই তাকে বাদ দেয়া হয়েছিলো।

সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘আমাকে সরিয়ে দেয়ার পর মনে হয়েছিল, আমার পেটে কেউ ঘুষি মেরেছে। নিজেকে ক্ষমতাহীন ও অপমানিত মনে হয়েছিল।’

তিনি দাবি করেন, তাকে হুমকি দেয়া হয় যে যদি তিনি এই বিষয়ে ‘বাড়াবাড়ি’ করেন তবে তাকে ‘দল থেকে বহিস্কার করা হবে এবং তার ক্যারিয়ার ও সম্মান ধ্বংস হবে।’নুসরাত গনির এই অভিযোগ এমন সময় এলো যখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী করোনা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি করার জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

সূত্র : আলজাজিরা