সিনহা হত্যার রায় আজ

সিনহা হত্যার রায় আজ

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান

দেশের বহুল আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় আজ।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণা হবে। দেড় বছর ধরে চলা এই মামলার দীর্ঘ শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে গত ১২ জানুয়ারি এ মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর সাবেক চৌকস কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী মেজর সিনহাকে গুলি করে হত্যা করার পর টেলিফোনে ওসি প্রদীপকে বলেন, ‘একজনকে ডাউন করেছি এবং আরেকজনকে ধরেছি।’ ওসি প্রদীপ ঘটনাস্থলে এসে সিনহাকে লাথি মেরে এবং পা দিয়ে গলা চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে সিনহার চরিত্রে কালিমা লেপন করে ইয়াবা মদ গাঁজা উদ্ধারের নামে টেকনাফ থানায় দু’টি এবং রামু থানায় একটিসহ তিনটি মামলা করে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়। পরে অবশ্য চিত্র পাল্টাতে থাকে। সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদি হয়ে ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ ৯ জনকে আসামি করে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে মামলাটি র্যাবকে তদন্তের আদেশ দেন আদালত। পরে অভিযোগপত্রে আরো ছয়জনকে আসামি করা হয়। মোট ১৫ আসামির মধ্যে ১২ জন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিলেও ঘটনার মূলহোতা ওসি প্রদীপসহ তিনজন দেননি।

এ মামলায় কারাগারে থাকা ১৫ আসামি হলেন, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপপরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিত, বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত সহকারী উপপরিদর্শক লিটন মিয়া, বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব, বরখাস্ত এপিবিএনের উপ-পরিদর্শক মো. শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।