সুস্থ থাকতে হার্টের যত্নে যেসব অভ্যাস গড়ে তুলবেন

সুস্থ থাকতে হার্টের যত্নে যেসব অভ্যাস গড়ে তুলবেন

প্রতীকি ছবি

হার্ট সুস্থ থাকা মানেই কিন্তু শরীর সুস্থ থাকা। কারণ শরীরে মূল কাণ্ডারি হল এই হার্ট। তাই সবার আগে হার্টের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে গেলে হার্ট ভাল রাখতেই হবে। 

বর্তমানে খুব কম বয়স থেকেই অনেকেই হৃদরোগের শিকার হচ্ছেন। হার্টের নানা সমস্যায় ভুগছেন। ২৫ বছর বয়সেই স্ট্রোক, হার্ট অ্যার্টাকের সমস্যা হচ্ছে। এর জন্য দায়ী কিন্তু আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রা। নানা ধরণের মানসিক চাপ, ঘুম কম হওয়া, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা এবং অবশ্যই খাওয়া-দাওয়ার জন্য কিন্তু বাড়ছে হৃদরোগ। যে কারণে হার্টের রোগের এখন আর কোনও বয়স হয় না। প্রথম থেকেই নিজের শরীরের যত্ন নিতে হবে। নিজেকে একটা রুটিনের মধ্যে বেঁধে ফেলতে হবে।

গত দুই বছরে কোভিড-১৯ আমাদের এই শিক্ষা দিয়েছে যে সুস্থ থাকতে হলে হার্টের যত্ন নিতে হবে। হার্টের কোনও সমস্যা থাকে এমনিই রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আজকের দিনে যা খুবই সমস্যার। কোভিড-১৯ এর সঙ্গে মোকাবিলা করতে গেলে হার্ট সুস্থ রাখতেই হবে। 

বিশ্বে প্রতি বছর যত মৃত্যুর ঘটনা ঘটে তার মধ্যে সবথেকে বেশি হল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে অন্তত ৯০ লাখ মানুষ মারা যান হৃদরোগ ঘটিত কারণে। ৩০ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের মধ্যে কিন্তু হৃদরোগে মৃত্যুর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। আর এই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুতে প্রথমেই রয়েছে চীন। এরপর ভারত, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর তাই প্রতিদিন যেসব অভ্যাস আপনাকে মেনে চলতেই হবে-

মন ঠিক রাখুন- 

মন ভাল রাখতেই হবে। মনের উপর যত বেশি চাপ পড়বে ততই কিন্তু অন্যান্য সব সমস্যা জাঁকিয়ে বসবে। এমনকি বাড়বে রক্তচাপও। রক্তচাপ বাড়লেই আসবে হার্টের সমস্যা। তাই মন ভাল রাখুন। নিয়মিত কিছু শরীরচর্চা করুন। অন্তত ১৫ মিনিট প্রাণময় সকলের জন্য খুবই জরুরি। শরীর যথাযথ পুষ্টি পাচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখুন। যদি স্নায়ুর উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

লবণ কম খান-

খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিন। সেই সঙ্গে এড়িয়ে চলুন কাঁচা লবণ। প্রসেসড ফুড, চিপস এসব যত কম খেতে পারবেন ততই কিন্তু ভাল। লবণ কম খেলে যেমন রক্তচাপ বাড়ে তেমনই কিডনির ক্ষতি হয়। তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকুন। বাইরের বা প্যাকেটবন্দি যে কোনও মুখরোচক খাবারেই কিন্তু লবণ বেশি থাকে। এ বিষয়ে নিজেকেই সতর্ক হতে হবে।

ঘুম- 

নিয়মিত ৭-৮ ঘন্টার ঘুম কিন্তু খুবই জরুরি। কাজের চাপ, জীবনের ব্যস্ততা সবই থাকবে। সকলেই প্রতিদিন ৭ ঘন্টা ঘুমানোর মত সময় পান না। কিন্তু এই অভ্যাস আপনাকেই করে নিতে হবে। সেই ভাবে গুছিয়ে কাজ করুন, যাতে ঘুমানোর সময় থাকে। ঘুম ভাল হলে স্নায়ুর চাপ কমে।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান- 

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফাইবার, মাছ, ডিম, দুধ, সবজি এবং মরশুমি ফল অবশ্যই রাখবেন। তেল, মশলার ব্যবহার একদমই কম করুন। লবণ, চিনি বাদ দিয়ে দিতে পারলেই সবথেকে ভাল। চিনি, ময়দা একদম বাদ দিয়ে দিলে ওজন কমবে খুব তাড়াতাড়ি।