জানুয়ারিতে বাংলাদেশে তৃতীয় সর্বোচ্চ কোভিড রোগী শনাক্ত

জানুয়ারিতে বাংলাদেশে তৃতীয় সর্বোচ্চ কোভিড রোগী শনাক্ত

জানুয়ারিতে বাংলাদেশে তৃতীয় সর্বোচ্চ কোভিড রোগী শনাক্ত

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসেই তৃতীয় সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে গত বছরের জুলাই ও অগাস্ট মাসে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৯৪ জন। নমুনা পরীক্ষার বিচারে বর্তমানে রোগী শনাক্তের হার ২৯.১৭ শতাংশ । শুধুমাত্র গত এক সপ্তাহেই রোগী শনাক্ত হয়েছে এক লাখের বেশি।এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন এবং অগাস্ট মাসে ২ লাখ ৫১ হাজার ১৩৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

মঙ্গলবার বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ১৮ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট শনাক্ত হয়েছে ১৮ লাখ ১১ হাজার ৯৮৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৪২৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩১ জন।জানুয়ারি মাসেই একদিনে রোগী শনাক্তের হারে নতুন রেকর্ডও হয়েছে। গত ২৮শে জানুয়ারি বাংলাদেশে রোগী শনাক্তের হার ছিল ৩৩.৩৭ শতাংশ। যদিও সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ২৮শে জুলাই, ১৬ হাজার ২৩০ জন।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক তাহমিনা শিরিন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ কাজ করতে পারে। তবে সাধারণত যেসব এলাকায় চলাচল বা লোক সমাগম বেশি থাকে, সেখানে সংক্রমণও বেশি হয়। আবার যেসব এলাকায় আগে সংক্রমণ বেশি হয়েছে, সেখানে আক্রান্তের হার কিছুটা কমে যেতে পারে।''যদিও সরকারি তথ্যে এই আক্রান্তরা করোনাভাইরাসের কোন ধরনে আক্রান্ত হচ্ছেন, তা বলা হয়নি।

তবে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা এর আগে বলেছেন, একসময় সংক্রমণে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের প্রাধান্য থাকলেও এখন অমিক্রন সেটিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।ঢাকায় জানুয়ারি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের ৬৯ শতাংশের শরীরে অমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা আইসিডিডিআর'বি।

আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা সংস্থা, বাংলাদেশ বা আইসিডিডিআর'বি একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অন্ততপক্ষে অমিক্রনের তিনটি সাব-টাইপ ঢাকা শহরে ছড়িয়ে পড়েছে।বর্তমানে বিশ্বের একশোর বেশি দেশে অমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়েছে। এই ধরনটি করোনাভাইরাসের অন্যান্য ভ্যারিয়ান্টের তুলনায় দ্রুত ছড়ায় বলে বিজ্ঞানীরা বলছেন।

সূত্র : বিবিসি