গ্রীনসিটিতে আবারো এক দিনে দু’রুশ নাগরিকের মৃত্যু

গ্রীনসিটিতে আবারো এক দিনে দু’রুশ নাগরিকের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

পাবনা প্রতিনিধি: দু’দিনের ব্যবধানে আবারে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দু’রুশ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার মার গেলেন বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত চুকিন পাভেল (৫৯) ও টলমাচেফ ভায়াচেস্লাভ (৫০) নামের এ দু’রুশ নাগরিকের মৃত্যু হলো।

শুক্রবার দিবাগত রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পাভেল এবং সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে ভায়াচেস্লাভের মৃত্যু হয়। এর আগে মারা যান বারচেনকো আলেক্সেই এবং শাকিরভ আলেক্সেই।

পুলিশ জানায়, চুকিন পাভেল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ‘টেস্ট রোসেম’ নামের একটি সাব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের নতুনহাট মোড়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আবাসিক এলাকা গ্রীনসিটির একটি কক্ষে থাকতেন। শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তার ফ্ল্যাটের কক্ষে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন দুই সহকর্মী। পরে গ্রীনসিটি ও রূপপুর প্রকল্পসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

অপর দিকে ওইদিন রাত দু’টার দিকে ভায়াচেস্লাভ গ্রীনসিটি আবাসিকের ১২ নম্বর ভবনের একটি কক্ষে থেকে  চৌদ্দ তলায় ওঠেন। পরে নিচে নামার সময় তিনি সিঁড়িতে পা ফঁসকে পড়ে যায়। এ সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তাকেক অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি রূপপুর প্রকল্পে রাশিয়ানদের মালিকানাধীন সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএমইউ-১ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানে ইন্সটলার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্র্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রাহুল কুদ্দুস বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পাভেল হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ভায়াচেস্লাভ সিঁড়ি থেকে পড়ে মৃত্যু হয়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, দু’জনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা  জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে দু’দিনের ব্যবধানে দুই রুশ নাগরিকের মৃত্যু হয়। গত শুক্রবার রাতে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বারচেনকো আলেক্সেই এবং বুধবার প্রকল্পের গ্রীনসিটি আবাসিক ভবনের শয়নকক্ষে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যান শাকিরভ আলেক্সেই। এভাবে প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছেন রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত বিদেশীরা।