ওমিক্রনের ধাক্কায় যশোরে ফুলের বাজার মন্দা

ওমিক্রনের ধাক্কায় যশোরে ফুলের বাজার মন্দা

ওমিক্রনের ধাক্কায় যশোরে ফুলের বাজার মন্দা

ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের গদখালির ফুল বাজারে অব্যহত লোকসানের মুখে পরিশ্রম করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও এবার বাধা হয়েছে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। অতি দ্রুত সংক্রমনের কারণে ইতোমধ্যে সব ধরনের সমাবেশ ও সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। ফলে ফুল বেচাকেনা কমেছে। এ অবস্থায় হতাশায় ভুগছেন গদখালীর ফুল চাষিরা।

আসছে পয়লা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস এবং স্বাধীনতা দিবসের আগ মুহূর্তে পর্যন্ত ফুলগুলো বিক্রি করতে কর্মব্যস্ততা থাকলেও তাদের মুখে হাসি নেই। লকডাউন আতংক বিরাজ করছে ফুল চাষিদের মাঝে।এমন সব দুঃশ্চিন্তার কথা বলছেন গদখালি এলাকার ফুল চাষিরা ।

তারা আরও বলেন মাস চারেক পরিচর্যায় বর্তমানে দেড় বিঘা জমিতে গোলাপ, ১২ কাটা জমিতে জারবেরা ও দেড় বিঘা জমিতে গাঁদা ফুলে ফুলে ভরে গেছে ক্ষেত। কিন্তু করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন চিন্তার ভাজ ফেলেছে। করোনার বিধিনিষেধে ইতোমধ্যে সামাজিক ও রাজনৈতিক সভা সমাবেশ; এমনকি বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় বিক্রি কমে শতকরা ১০ ভাগে নেমেছে।

আর দাম কমেছে অর্ধেকপানিসারার হাঁড়িয়াদাড়া এলাকার ফুল চাষি সাঈদ আলী জানান, ২০ হাজার টাকা খরচ করে দেড় বিঘা জমিতে গাঁধা ফুল চাষ করেছি। ডিসেম্বর পর্যন্ত ভালো দাম ছিলো, তবে জানুয়ারি থেকে করোনা বাড়ায় অনুষ্ঠান বন্ধ হচ্ছে। সেই সাথে আমাদের ফুল বেঁচা-কেনায় দাম ধস নেমেছে।

পানিসারা এলাকার ফুল চাষী ইসমাইল জানান, গেল দুই বছর লকডাউনের কারণে ফুল বেচতে না পেরে নিঃস্ব হতে বসেছিলাম। কেউ আবার ফুলের আবাদ ছেড়ে অন্য ফসলের আবাদ শুরু করেছে। তিনি বলেন, ওমিক্রনের প্রভাবে ফুলের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। আগে প্রতি হাজার গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা। এখন ১০০ টাক। একএকটি গোলাপ আগে বিক্রি হয়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ১ টাকা।