সহিংসতার কারণে বুরকিনা ফাসোর জনগণের দেশত্যাগ : জাতিসঙ্ঘ

সহিংসতার কারণে বুরকিনা ফাসোর জনগণের দেশত্যাগ : জাতিসঙ্ঘ

সহিংসতার কারণে বুরকিনা ফাসোর জনগণের দেশত্যাগ : জাতিসঙ্ঘ

বুরকিনা ফাসোতে ক্রবর্ধমান সহিংসতা ও নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধির কারণে দেশ থেকে শরণার্থীরা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন, যার কারণে সাহেল অঞ্চলে রাজনৈতিক ও মানবিক সঙ্কট বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী দফতর ইউএনএইচসিআর জানায়, গত বছর ১৯ হাজার ২০০ বুর্কিনাবে বা বুরকিনার জনগণ পার্শ্ববর্তী দেশ আইভরি কোস্ট, মালি, নিজার ও বেনিনে পালিয়ে যান। আগের বছরের চাইতে যা ছিল ৫০ শতাংশ বেশি।

সংস্থাটি জানায়, এই অঞ্চলে পালিয়ে আসা বুরকিনা ফাসোর জনগণের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে এখন ৩৪ হাজারেরও বেশি। এদের মধ্যে মে মাসের পর ৭ হাজার শরণার্থী উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় আইভরি কোস্ট বা কোটে দ্য আইভোরিতে এসে পৌঁছেছেন।

ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র বরিস চেশিরকভ বলেন, আইভরি কোস্ট সীমান্ত বরাবর সশস্ত্র গ্রুপগুলোর নির্দয় হামলা বেশি করে জনগণকে দেশ থেকে পালতে বাধ্য করছে।

শরণার্থীদের বর্ধিত হারে আনাগোনা ভঙ্গুর সাহেল অঞ্চলে ভয়াবহ চাপের সৃষ্টি করেছে। তাই মধ্যবর্তী সাহেল অঞ্চলভূক্ত বুরকিনা ফাসো, মালি ও নিজার এলাকায় এখন চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা, ব্যাপক সহিংসতা, খাদ্য ঘাটতি ও জলবায়ু সম্পর্কিত সঙ্কট।

চেশিরকভ বলছেন দুই কোটি লোক অধ্যুষিত এই অঞ্চল দ্রুত বর্ধিষ্ণু জনসংখ্যাকে সাহায্য দিতে পারছে না। তিনি বলেন, সম্পদের ঘাটতির দরুণ সেখানে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।