কাশিমপুর কারাগারে প্রদীপ-লিয়াকত

কাশিমপুর কারাগারে প্রদীপ-লিয়াকত

ফাইল ছবি

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার রাতে কড়া নিরাপত্তা প্রহরায় তাদের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাগারে আনা হয়।

কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন জানান, কক্সবাজার জেলা আদালত প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীকে সেনাবাহিনীর মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়। রায় ঘোষণার পর তাদের কক্সবাজার কারাগারে নিয়ে নির্ধারিত পোশাক পরিয়ে কনডেম সেলে রাখা হয়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার ও পরে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে মেজর সিনহা নিহত হন। নিহতের চারদিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে দুই নম্বর আসামি করা হয়। মামলার তিন নম্বর আসামি করা হয় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিতকে। কক্সবাজারের র‌্যাব-১৫ মামলাটির তদন্ত করে। সিনহা হত্যা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত বরখাস্তকৃত বিতর্কিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীকে মৃত্যদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।