দেশে বর্তমানে ২০ লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশে বর্তমানে ২০ লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

করোনায় সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রায় ৬৭ শতাংশ মানুষ অসংক্রামক রোগে মারা যায়।  এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে, দেশে বর্তমানে ২০ লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেছেন, ক্যান্সারের পাশাপা‌শি লিভার, কিড‌নি, হার্টসহ নানা‌বিধ ননক‌মিউ‌নিক্যাবল রো‌গে লাখ লাখ মানুষ প্রতিবছর আক্রান্ত হ‌চ্ছেন, মারাও যা‌চ্ছেন। এসব রো‌গের কারণ আমা‌দের খাদ্যাভাস, কীটনাশ‌কের অ‌ধিক ব্যবহার, প‌রি‌বেশ দূষণ এবং সব‌চে‌য়ে বে‌শি খারাপ হ‌চ্ছে ধূমপান। আমা‌দের এসব নিয়ন্ত্রণ কর‌তে হ‌বে।

জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশে সংক্রামক ব্যাধি অনেক বেশি ছিল। স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের আমাদের দেশে বর্তমানে সংক্রামক ব্যাধি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। করোনা এমন একটি ব্যাধি যা পুরো বিশ্বকে সংক্রমিত করেছে, বাংলাদেশেও সংক্রমিত হয়েছে। করোনায় কোটি কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে।  

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অসংক্রামক রোগ সারা পৃথিবীতেই বাড়ছে, বাংলাদেশের অসংক্রামক রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের জীবনযাত্রা উন্নত হয়েছে, জীবনযাত্রার পাশাপাশি এই সমস্ত রোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার মধ্যে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ অন্যতম। বাংলাদেশের ৬৭ শতাংশ মানুষ নন কমিউনিকেবল ডিজিজে (অসংক্রামক রোগ) মারা যান। যার মধ্যে ক্যান্সার অন্যতম।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল অডিটেরিয়ামে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী । বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

জাহিদ মালেক ব‌লেন, এক সময় ক‌লেরা, ডা‌য়ে‌রিয়া, টাইফ‌য়েড, যক্ষা এসব রো‌গেও মানুষ মারা যেত। সেসব রোগও নিয়ন্ত্রণ করা হ‌য়ে‌ছে। আমা‌দের স্বাস্থ্য‌ সেবার মান সে সময়ের তুলনায় অ‌নেক সমৃদ্ধ হ‌য়ে‌ছে। ফ‌লে আমরা ক্যান্সারের ম‌তো রোগ‌কেও স্বাস্থ্য‌সেবা দি‌য়ে নিয়ন্ত্রণে আন‌তে পারবো।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ফরিদ হোসেন মিয়া, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মু. সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।