আইপিএলে তারকা ক্রিকেটাররা কে কোন দলে?

আইপিএলে তারকা ক্রিকেটাররা কে কোন দলে?

আইপিএলে তারকা ক্রিকেটাররা কে কোন দলে?

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের নিলামের প্রথম দিন ও দ্বিতীয় দিন ডাক পাননি সাকিব আল হাসান, কোনো দলই আগ্রহ দেখায়নি তাকে নিয়ে।

তবে এই তালিকায় তিনি একা নন।

দীর্ঘদিন আইপিএলে পারফর্ম করা ভারতীয় ক্রিকেটার সুরেশ রায়না, ইংল্যান্ডের ইয়ন মরগান, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ, স্টিভ স্মিথ, অ্যাডাম জাম্পাদের মতো ক্রিকেটাররাও কোনো দলে ডাক পাননি এবারের আইপিএলে।

বাংলাদেশ থেকে একমাত্র মোস্তাফিজুর রহমান এবারের আইপিএল খেলবেন, দিল্লি কাপিটালসের হয়ে।

বরাবরের মতো এবারের আইপিএলেও বড় অঙ্কের অর্থ পাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা।

এখনো পর্যন্ত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মেগা অকশনে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ইশান কিশান, ভারতের ধনাঢ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আম্বানি গ্রুপের দল মুম্বাই ইন্ডয়িান্সের হয়ে খেলবেন তিনি, নিলামে তার দাম উঠেছে ১৫.২৫ কোটি রুপি।

যদিও প্রত্যেক দলের জন্য সর্বোচ্চ অর্থ খরচার একটা সীমারেখা নির্ণয় করা ছিল ৯০ কোটি রুপি, তারই মধ্যে যেসব দল গুছিয়ে অর্থ খরচ করেছে তারাই পেয়েছে দলের ভালো সমন্বয়।

কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব
কাগজে কলমে অর্থাৎ নিলামের টেবিলে এবারের আসরের সবচেয়ে শক্তিশালী দলগুলোর একটি করেছে বলিউড তারকা প্রীতি জিন্তার দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।

মাত্র দু’জন ক্রিকেটার ধরে রাখার ফলে পাঞ্জাবের ব্যাংক ব্যালেন্স ছিল বেশি।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ কাঁপানো অলরাউন্ডার বেনি হাওয়েলকে নিয়েছে মাত্র ৪০ লাখ রুপিতে।

দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদাকে নয় কোটি ২৫ লাখ রুপিতে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বড় নাম ইংল্যান্ডের লিয়াম লিভিংস্টোনকে ১১ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে নিয়ে নেয় কিংস ইলেভেন। ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টোর দাম ওঠে ছয় কোটি ৭৫ লাখ রুপি।

ভারতের শেখর ধাওয়ানকে শুরুতেই বিড করে আট কোটি ২৫ লাখ রুপিতে দলে নিয়ে নেয়, এরপর তামিল নাডুর শাহরুখ খানকে নয় কোটি রুপি ব্যয় করে নিলামে কিনে নেয় পাঞ্জাব।

সম্প্রতি ভারতের বিপক্ষে ভালো খেলা ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার ওডিন স্মিথকে নিতে ছয় কোটি রুপি খরচ করে দলটি।

এছাড়া লেগ স্পিনার রাহুল চাহারকে দলে নিয়েছে ৫ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
দলে এর আগেই ছিলেন কাইরন পোলার্ড, রোহিত শর্মা, জসপ্রিত বুমরাহ ও সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। নতুন করে কিনেছে আট কোটি রুপির জফ্রা আর্চারকে, যিনি এই মৌসুমে না খেলতে না পারলেও, পরের মৌসুমে আইপিএলে অংশ নেবেন।

নিলামে যেসব দল বিপুল পরিমাণে অর্থ ব্যয় করেছে তাদেরই একটি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মূলশক্তি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যথোপযুক্ত ব্যাটিং লাইন আপ ও বোলিং শক্তি।

কাছাকাছি দামে সিঙ্গাপুর বংশোদ্ভুত অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার টিম ডেভিডকে সোয়া আট কোটি রুপিতে পেয়েছে মুম্বাই।

অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে নজরকাড়া দেওয়াল্ড ব্রেভিসের দাম উঠেছে তিন কোটি রুপি, তিনিও মুম্বাইয়ের হয়ে খেলবেন এবারে, ইতোমধ্যে ব্রেভিসকে এবি ডি ভিলিয়ার্সের সাথে তুলনা করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার ড্যানিয়েল সামসের দাম উঠেছে দুই কোটি ৬০ লাখ রুপি।

কলকাতা নাইট রাইডার্স
নিলামের শুরু থেকেই বিপাকে ছিল কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজ। তবে শেষদিকে তারা বেশ কজন প্রভাবশালী ক্রিকেটার নিয়েছে।

অ্যালেক্স হেইলস তাদেরই একজন, মাত্র দেড় কোটি রুপিতে এই ইংলিশ ব্যাটসম্যানকে পেয়েছে কলকাতা। একই দামে নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার টিম সাউদিকে পেয়েছে কলকাতা, ভারতীয় ফাস্ট বোলার উমেশ ইয়াদাভকে পেয়েছে দুই কোটি রুপিতে।

এছাড়া আছেন, আন্দ্রে রাসেল, ভরুন চক্রবর্তী, ভেংকাটেশ আইয়ার ও সুনিল নারিন।

শ্রেয়াস আইয়ার, বলিউড তারকা শাহরুখ খানের মালিকানাধীন দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলবেন, আইয়ারের দাম উঠেছে ১২.২৫ কোটি রুপি।

শেষদিকে এসে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান স্যাম বিলিংসও এসেছে কলকাতার ঘরে, এর আগে প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে সোয়া সাত কোটি রুপিতে দলে নিতে পেরেছে কলকাতা।

আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীকেও এক কোটি রুপিতে পেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

এছাড়া আজিঙ্কা রাহানেকে পেয়েছে এক কোটি রুপিতে এবং ভারতীয় অলরাউন্ডার শিভাম মাভির দাম উঠেছে সোয়া সাত কোটি রুপি।

চেন্নাই সুপার কিংস
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সফলতম ফ্র্যাঞ্চাইজগুলোর একটি, এবারের নিলামেও তার ছাপ ছিল স্পষ্ট।

আগে থেকে ধরে রাখা ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, রাভিন্দ্রা জাদেজা, মইন আলীরা।

সাথে যোগ দিয়েছেন আম্বাতি রাইডু, ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান এর আগেও চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন।

ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার ক্রিস জর্ডান এই দলে যোগ দিয়েছেন, নিলামে তার দাম উঠেছে তিন কোটি ৬০ লাখ রুপি। নিউজিল্যান্ডের ডেভন কনওয়ে, মিচেল স্যান্টনার ও অ্যাডাম মিলনেকেও দলে পেয়েছে চেন্নাই।

চার কোটি করে দাম দিয়ে দু’জন অলরাউন্ডার পেয়েছে চেন্নাই।

দলটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাসি বিশ্বনাথান টেলিভিশন সম্প্রচারকদের বলেছেন, ফ্যাফ ডু প্লেসি ও শারদুল ঠাকুরকে না পাওয়ার আফসোস আছে। তবে যে ১০ জন ক্রিকেটারকে তারা বিড করেছে তাদের নয়জনই আগে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছেন।

তারা আশা করছেন এতে দলীয় সমন্বয় বজায় থাকবে।

রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর
এখনো পর্যন্ত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতেনি এই দলটি।

বরাবরই শক্তিশালী দল গঠন করে এই ফ্র্যাঞ্চাইজ। আগে থেকে রেখে দেয়া ভিরাট কোহলি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মোহাম্মদ সিরাজরা আছেন।

এছাড়া নিলামে সাত কোটি রুপিতে পেয়েছে ফ্যাফ ডু প্লেসিকে, যিনি নিলামের প্রথম দিনই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে জানান দিয়েছেন তিনি ফর্মে আছেন।

সাত কোটি পঁচাত্তর লাখ রুপিতে অস্ট্রেলিয়ান পেসার জশ হ্যাজলউডকেও পেয়েছে আরসিবি।

তবে আরসিবির সবচেয়ে আলোচিত নিলামের ডাক ছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, শ্রীলঙ্কান এই স্পিনিং অলরাউন্ডারকে পেতে খরচ হয়েছে পৌনে এগারো কোটি রুপি।

এর বাইরে নিউজিল্যান্ডের ফিন অ্যালেনকে ৮০ লাখ রুপিতে, অস্ট্রেলিয়ার জেসন বেহরেনডরফকে ৭৫ লাখ রুপিতে ও ইংল্যান্ডের ডেভিড উইলিকে ২ কোটি রুপিতে পেয়েছে রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।

উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান দিনেশ কার্তিককে সাড়ে পাঁচ কোটি রুপিতে নিয়েছে দলে।

ভারতীয় পেস বোলার হারশাল পাটেলকে পেতে খরচা হয়েছে পৌনে এগারো কোটি রুপি।

দিল্লি কাপিটালস
মোস্তাফিজুর রহমানের চতুর্থ আইপিএল দল হতে যাচ্ছে দিল্লি। এই দলে আরো বেশ কজন ফাস্ট বোলার আছেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দক্ষিণ আফ্রিকার আনরিখ নরকীয়া। নিলামে ডেভিড ওয়ার্নারকে সোয়া ছয় কোটি রুপিতে পেয়েছে দিল্লি।

মিচেল মার্শকে পেতে খরচ হয়েছে সাড়ে ছয় কোটি রুপি।

লুঙ্গি এনগিদিকে পেয়েছে মাত্র ৫০ লাখ রুপিতে, নিলামের শেষ বেলায় এসে।

তবে দিল্লির বেশ কয়েকটি বিড ছিল চমকপ্রদ, অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভালো করা ভারতের ইয়াশ ঢুল একজন, আরেকজন ২ কোটি ৮০ লাখ রুপির ক্যারিবিয়ান হার্ড হিটার রভমান পাওয়েল।

ফাস্ট বোরারদের মধ্যে পৌনে এগারো কোটি দাম পড়েছে শারদুল ঠাকুরের, চেতান সাকারিয়ার দাম পড়েছে চার কোটি ২০ লাখ রুপি।

মোস্তাফিজকে একাদশে সুযোগ পেতে লড়তে হবে দু’জন বিদেশি ও দু’জন ভারতীয় ফাস্ট বোলারের সাথে।

নিউজিল্যান্ডের উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান টিম সেফার্টকে পেয়েছে মাত্র ৫০ লাখ রুপিতে, এছাড়া ভারতের স্পিনার কুলদীপ ইয়াদাভের দাম পড়েছে দুই কোটি রুপি।

রাজস্থান রয়্যালস
আইপিএলের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন দল রাজস্থান রয়্যালস। ট্রেন্ট বোল্ট, জস বাটলার, সাঞ্জু স্যামসন ও ইয়াশাভি জেয়সওয়াল আগে থেকেই ছিল রাজস্থানে।

নিলামেও বেশ ভালো ভালো ক্রিকেটার তুলে নিয়েছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজ, যারা ব্যাটিং, বোলিং ও অলরাউন্ড তিন জায়গাতেই ভূমিকা পালন করতে পারবেন।

নিলামে রাভিচান্দ্রান আশ্বিনকে নিয়েছে পাঁচ কোটি রুপিতে, ক্যারিবিয়ান মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান শেমরন হেটমায়ারকে নিয়েছে সাড়ে আট কোটি রুপিতে, ভারতের লেগ স্পিনার য়ুজভেন্দ্র চাহালকে নিয়েছে সাড়ে ছয় কোটি রুপিতে।

প্রাসিধ কৃষ্ণাকে পেতে দশ কোটি রুপি খরচ হয়েছে রাজস্তানের।

দেভদুত পাডিকালকে পেতে পৌনে আট কোটি রুপি দাম খরচ করেছে রাজস্থান।

অস্ট্রেলিয়ান বোলিং অলরাউন্ডার নাথান-কোল্টার নাইলকে দুই কোটি রুপিতে দলে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস।

এছাড়া নিউজিল্যান্ডের দুই অলরাউন্ডার জিনি নিশামকে দেড় কোটি রুপিতে এবং ড্যারেল মিচেলকে ৭৫ রাখ রুপিতে দলে নিয়েছে রাজস্থান।

সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ
নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসনকে আগে ধরে রেখেছিল হায়দ্রাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজ।

এই নিলামে যেসব দল সবচেয়ে বেশি অর্থ মজুদ করে রেখেছিল পকেটে, তারই একটা সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।

ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে রাহুল ত্রিপাঠিকে দলে নিয়েছে সাড়ে আট কোটি রুপিতে, কার্তিক ত্যাগির দাম উঠেছে চার কোটি রুপি, অলরাউন্ডার অভিষেক শর্মাকে সাড়ে ছয় কোটি রুপিতে দলে নিয়েছে হায়দ্রাবাদ।

ওয়াশিংটন সুন্দরকে পেতে খরচা হয়েছে আট কোটি ৭৫ লাখ রুপি এবং ভুবনেশ্বর কুমারকে আবারও দলে নিয়েছে চার কোটি ২০ লাখ রুপিতে।

দলটির বিদেশি ক্রিকেটারদের তালিকাও শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মারক্রামের দাম উঠেছে ২ কোটি ৬০ লাখ রুপি, নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপসকে পেয়েছে দেড় কোটি রুপিতে, অস্ট্রেলিয়ান পেস বোলিং অলরাউন্ডার শন অ্যাবোটকে পেয়েছে দুই কোটি ৪০ লাখ রুপিতে।

ক্যারিবিয়ান উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরানকে পেতে বেশ কয়েকটি বিড করতে হয়েছে হায়দ্রাবাদকে, পৌনে এগারো কোটি রুপি দাম উঠেছে এই ক্রিকেটারের।

দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলার মার্কো জানসেনের দাম উঠেছে চার কোটি বিশ লাখ রুপি।

গুজরাট টাইটান্স
এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজ হিসেবে যোগ দিয়েছে আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজ, দলটির আনুষ্ঠানিক নাম গুজরাট টাইটান্স।

নতুন দলগুলো নিলাম শুরুর আগে ক্রিকেটার নেয়ার সুযোগ পেয়েছে, হার্দিক পান্ডিয়া, রশিদ খান ও শুভমন গিলকে দলে নিয়ে নিলামে বসেছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজ।

ফাস্ট বোলিং বিভাগে আলজারি জোসেফকে দুই কোটি ৪০ লাখ রুপিতে এবং লোকি ফার্গুসনকে ১০ কোটি রুপি খরচ করে দলে নিয়েছে দলটি।

নয় কোটি রুপি খরচ করে নিয়েছে রাহুল তেওয়াতিয়াকে, মোহাম্মদ শামির দাম উঠেছে ছয় কোটি ২৫ লাখ রুপি।

ইংল্যান্ডের জেসন রয় ও দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলারকে নামমাত্র মূল্যে পেয়েছে গুজরাট।

লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস
লক্ষ্ণৌ ফ্র্যাঞ্চাইজ নিলামের আগে দলে নিয়েছে অধিনায়ক হিসেবে কেএল রাহুলকে সাথে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস ও ভারতীয় স্পিনার রাভি বিষ্ণয়কে দলে নিয়েছে দলটি।

নিলামে নেমে জেসন হোল্ডারকে আট কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। শ্রীলঙ্কান ফাস্ট বোলার দুশমন্ত চামিরাকে নিতে খরচ করেছে দুই কোটি রুপি।

পৌণে সাত কোটি রুপি দাম তুলে কিনেছে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কককে, তিনি আইপিএলের ইতিহাসের সফলতম ক্রিকেটারদের একজন।

আভেশ খানের দাম উঠেছে ১০ কোটি রুপি।

এর বাইরে বিদেশি ক্রিকেটার ক্যাটাগরিতে ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার মার্ক উডকে সাড়ে সাত কোটি রুপিতে, ভারতীয় স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার ক্রুনাল পান্ডিয়াকে সোয়া আট কোটি রুপিতে এবং দিপাক হুডাকে পৌণে ছয় কোটি রুপিতে দলে নিয়েছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস।

শেষদিকে ক্যারিবিয়ান ওপেনিং ব্যাটসম্যান এভন লুইসকেও দুই কোটি রুপিতে পেয়েছে দলটি।

সূত্র : বিবিসি