বেতন নিয়ে অসন্তোস, উপাচার্যের বাসভবনে হট্টোগোল ইবি কর্মকর্তাদের

বেতন নিয়ে অসন্তোস, উপাচার্যের বাসভবনে হট্টোগোল ইবি কর্মকর্তাদের

বেতন নিয়ে অসন্তোস, উপাচার্যের বাসভবনে হট্টোগোল ইবি কর্মকর্তাদের

 ইবি প্রতিনিধি: বেতনের নীতিমালা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তা পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা। এ ছাড়াও আরো দুই দফা দাবি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে তার বাসভবনে যান শতাধিক কর্মকর্তা। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম উপস্থিত হয়ে দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ইমদাদুল হক কর্মকর্তাদের পক্ষে কথা বলেন।

এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূইয়া ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপাচার্যের সামনেই হট্টগোল শুরু করতে থাকেন করে কর্মকর্তারা। তিন দফার অন্য দাবিগুলো হলো চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছর ও অফিস সময় পরিবর্তন করা।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে ৩৫হাজার ৫০০ ও উপ-রেজিস্ট্রার বা সমমান পদে ৫০ হাজার টাকা বেতন স্কেলের দাবি করে আসছেন কমকর্তারা। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে ২৪৭ তম সিন্ডিকেট সভায় শর্ত স্বাপেক্ষে দাবি মেনে নেয় তৎকালীন প্রশাসন। এতে ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর পর্যায়ের ফলাফল ও চাকরির সময়ের উপরে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়। এছাড়া কোন প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হলে এই সুবিধা সংশোধন করার কথা বলে প্রশাসন।

এতে শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত অনুযায়ী এই বেতন স্কেল থেকে বঞ্চিত কর্মকর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সম্প্রতি হওয়া ২৫৪তম সিন্ডিকেট সভায় সকলের জন্য একই স্কেল নির্ধারণ করা হয়। এদিকে সম্প্রতি দেওয়া বেতন স্কেলের নীতিমালায় সহকারী রেজিস্ট্রার হওয়ার ছয় বছর ও উপ-রেজিস্ট্রার হওয়ার পাঁচ বছর পর স্কেল কার্যকর হওয়ার বিষয় উল্লেখ আছে বলে জানান কর্মকর্তারা। ফলে এবিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এবিষয়ে সাধারণ সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা পরিষদ। সভা শেষে ভিসি’র সাথে দেখা করতে তার বাসভবনে যান শতাধিক কর্মকর্তা। এসময় তারা পদোন্নতির সাথে সাথে সবার জন্য বর্ধিত বেতন স্কেল কার্যকরের দাবি জানান ভিসির কাছে। এছাড়া বেতনের নীতিমালা ও এর জন্য গঠিত কমিটিকে প্রত্যাক্ষাণ করেন তারা। তাছাড়া চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছর করা ও কর্মঘন্টা পরিবর্তনের দাবি জানান কর্মকর্তারা।

এসময় উপাচার্য আবারো একটি কমিটি গঠন করে সমাধানের কথা বললে হট্টোগোল শুরু করে কর্মকর্তারা। হট্টোগোল থামাতে প্রক্টর কথা বললে সমিতির নেতাদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। পরে নীতিমালা ও কমিটিকে প্রত্যাক্ষাণ করে বাসভন থেকে চলে যান কর্মকর্তারা।