তিন বছর বন্ধ থাকার পর আবার চালু হয়েছে ইরাকের জাতীয় জাদুঘর

তিন বছর বন্ধ থাকার পর আবার চালু হয়েছে ইরাকের জাতীয় জাদুঘর

ইরাকের জাতীয় জাদুঘর

কোভিড-১৯ মহামারী ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তিন বছর বন্ধ থাকার পর সোমবার ইরাকের জাতীয় জাদুঘর দর্শনার্থীদের জন্য আবার খুলে দেওয়া হয়েছে।
২,৫০০ বছর আগের নব্য-আসিরীয় সাম্রাজ্যের ধন-সম্পদের পাশাপাশি ৯ম শতাব্দীর ইসলামিক প্রত্নসামগ্রী জাদুঘরে প্রদর্শন করা হয়েছে। এসব প্রত্নম্পদের মধ্যে দ্বিতীয় আসুরনাসিরপাল (৮৮৩-৮৫৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)-এর প্রাসাদে নিমরুদ সাইট থেকে সংগৃহীত দুটি ডানাওয়ালা ষাঁড়ও রয়েছে। খবর এএফপির।
তুরস্কের পর্যটন দলের ৬৫ বছর বয়সী তিজেন কায়রালচি বলেছেন, "আমরা এখানে আসার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছি।" তিনি বলেন, এ সুযোগ আমার কাছে অপ্রত্যাশিত। এগুলি অমূল্য, খুব মূল্যবান ঐতিহ্য। তিনি আরো বলেন, "এটি ইরাকের ইতিহাস প্রতিফলিত করে।
প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-কাজেমি রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে জাদুঘর উদ্বোধনকালে বলেছেন, মেসোপটেমিয়ার পাঁচ হাজার বছরের পুরনো বা আধুনিক ইরাকের ইতিহাস প্রদর্শনের জন্য ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত জাদুঘরটির ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছে।
২০১৯ সালে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে ইরাকের পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষের প্রধান লাইথ মাজিদ হুসেন বলেন, বিক্ষোভ ও নিরাপত্তার কারণে তিন বছর আগে ইরাক যাদুঘরটি বন্ধ করে  দিয়েছিল। তিনি বলেন, তারপরে করোনভাইরাস মহামারী আসে।
১৯৬৬ সাল থেকে জাদুঘরটি বর্তমান অবস্থানে রয়েছে। ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের পরে জাদুঘরটি তছনছ করা হয়েছিল। ওই আগ্রাসনে ইরাকের স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের পতন ঘটে। কর্তৃপক্ষ সে সময়ে লুট হওয়া প্রায় ১৫,০০০ প্রতœতত্ত্বের এক তৃতীয়াংশ উদ্ধার করেছে।
২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ইরাকের বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করার সময় ইসলামিক স্টেট গ্রুপের জিহাদিরা প্রাচীন স্থানগুলিতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এবং অনেক পুরাকীর্তি পাচার করেছে।
ইরাক গত বছর ১৮ হাজারের বেশি প্রত্নবস্তু উদ্ধার করেছে, যার বেশির ভাগই উদ্ধার হয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে।