তুরস্কে গিয়ে এরদোগানের সাথে জার্মান চ্যন্সেলার শলৎসের বৈঠক

তুরস্কে গিয়ে এরদোগানের সাথে জার্মান চ্যন্সেলার শলৎসের বৈঠক

তুরস্কে গিয়ে এরদোগানের সাথে জার্মান চ্যন্সেলার শলৎসের বৈঠক

সোমবার তুরস্কে গিয়ে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সাথে কথা বললেন জার্মানির চ্যন্সেলার শলৎস।কয়েক দিন আগেই তুরস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলোচনায় বসেছিলেন। তুরস্কের ভূমিকা ছিল মধ্যস্থতাকারীর। সংঘাতের আবহে রাশিয়া ও ইউক্রেন যে তৃতীয় দেশে আলোচনা করেছে, এটাই ছিল সেই মধ্যস্থতার সাফল্য।

তারপর সোমবার শলৎস রাশিয়া-ইউক্রেন এবং দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে এরদোগানের সাথে আলোচনা করেন। আলোচনার পর শলৎস বলেছেন, ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়া নিজেদের একঘরে করে ফেলেছে। প্রতিদিন ইউক্রেনে ফেলা রাশিয়ার প্রতিটি বোমা পুতিনকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরো দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।তার মতে, রাশিয়ার উচিত অবিলম্বে লড়াই থামিয়ে কূটনৈতিক আলোচনায় বসা।

শলৎসের বক্তব্য
আলোচনার পর শলৎস বলেছেন, প্রেসিডেন্ট এরদোগান এবং আমি এই বিষয়ে সম্পূর্ণ একমত যে ইউক্রেনে সামরিক হামলা নিন্দনীয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধবিরতি হওয়া দরকার।

শলৎস বলেছেন, তুরস্ক ও জার্মানি এই ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে। তিনি ভূমধ্যসাগর ও কৃষ্ণসাগরের সংযোগকারী একটি প্রণালী বন্ধ করে দেয়ার জন্য শলৎসকে ধন্যবাদ জানান। তুরস্কের নিয়ন্ত্রণে থাকা এই প্রণালী বন্ধ করে দেয়ায় সেখান দিয়ে যুদ্ধজাহাজ যাতায়াত করতে পারেনি।

শলৎস বলেছেন, কিছু বিষয়ে জার্মানি ও তুরস্কের মধ্যে মতবিরোধ আছে। এর ফলে মাঝেমধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক একটু খারাপ হয়। এই বিষয়গুলোর মধ্যে আছে, আইনের শাসন, মানবাধিকার, জার্মানির নাগরিকদের জেলবন্দি করা বা দেশে ফিরতে না দেয়ার ঘটনা।শলৎসের দাবি, এই বিষয়গুলো নিয়ে এরদোগানের সাথে আলোচনা কিছুটা এগিয়েছে। এই বিরোধের সমাধান পাওয়া যাবে বলে তিনি মনে করছেন।

এরদোগান যা বলেছেন
এরদোগান বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা আরো বাড়ানো দরকার। দুই দেশকে আলোচনায় বসানোর জন্য তুরস্ক যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। ইতোমধ্যেই তুরস্কে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলোচনা করেছেন।

এরদোগান জার্মানির সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো বাড়ানোর কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তুরস্কের আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে জার্মানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশ। ২০২০ সালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হয়েছে তিন হাজার ৮০০ কোটি ডলারের। এটাকে পাঁচ হাজার কোটিতে নিয়ে যেতে আমরা বদ্ধপরিকর।

তিনি তুরস্কের পর্যটন ক্ষেত্রে জার্মানির গুরুত্বের কথাও উল্লেখ করেন।তবে অ্যামেরিকা ২০২০ সালে তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কারণ, তারা রাশিয়া থেকে এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কিনেছিল।

সূত্র : ডয়চে ভেলে