জাপানে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ৪

জাপানে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ৪

জাপানে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ৪

জাপানের উত্তরপূর্বাঞ্চলে বৃহস্পতিবার ৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত চারজন মারা গেছেন এবং ১০৭ জন আহত হয়েছেন। ভূমিকম্পে বিপুল সংখ্যক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অনেক এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে দেশটির প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো গণমাধ্যমকে বলেছেন, ভূমিকম্পের সময় চারজন মারা গেছেন এবং ১০৭ জন আহত হয়েছেন।তিনি আরো জানান, নিহতদের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

জাপানের কিয়োডো নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের সময় সোমা শহরে ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি দ্রুত তার বাড়ি থেকে বের হতে গিয়ে দ্বিতীয় তলা থেকে পড়ে মারা যান এবং সত্তরোর্ধ্ব এক ব্যক্তি ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।

বৃহস্পতিবার ভোরে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা ফুকুশিমা এবং মিয়াগি প্রিফেকচারের উপকূলে সুনামির ঝুঁকির কথা জানায়। রাজধানী টোকিও থেকে প্রায় ৩৯০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ইশিনোমাকিতে ৩০ সেন্টিমিটার উচ্চতার সুনামি ঢেউ উপকূলে আঘাত হানে।আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা প্রাথমিক ৭ দশমিক থেকে ৭ দশমিক ৪ এবং সমুদ্রের নিচে এর বিস্তার ৬০ কিলোমিটার থেকে ৫৬ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

বৃহস্পতিবার দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী সোমা, আইতাতে ও ফুকুশিমার অন্যান্য উপকূলীয় শহরগুলোর বাসিন্দাদের কাছে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করেছে। কারণ ভূমিকম্পে এসব এলাকার পানি ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল৷প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, ভূমিকম্পের কারণে ফুকুশিমা এবং মিয়াগির মধ্যে একটি তোহোকু শিনকানসেন এক্সপ্রেস ট্রেন আংশিকভাবে লাইনচ্যুত হয়েছিল, তবে কেউ হতাহত হয়নি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাতসুনো বলেছেন, আমরা উদ্ধার তৎপরতায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং মানুষের জীবনকে প্রাধান্য দিচ্ছি।তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সম্ভাব্য বড় আফটার শকগুলোর জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১১ বছর আগে এই অঞ্চলেই ৯ মাত্রার ভূমিকম্প ও প্রলয়ংকারী সুনামির কারণে পারমাণবিক চুল্লি গলে যায়। ফলে ব্যাপক মাত্রায় বিকিরণ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে এখনো এই অঞ্চলের কিছু অংশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে আছে।