পাবনায় ‘বাবাহীন’ ৩ সন্তানের জন্ম দিলেন মানসিক প্রতিবন্ধী, একটি চুরি!

পাবনায় ‘বাবাহীন’ ৩ সন্তানের জন্ম দিলেন মানসিক প্রতিবন্ধী, একটি চুরি!

পাবনায় ‘বাবাহীন’ ৩ সন্তানের জন্ম দিলেন মানসিক প্রতিবন্ধী, একটি চুরি!

পাবনা জেনারেল হাসপাতালে তিনটি ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী। জমজ এই তিন সন্তানের পিতৃপরিচয় পাওয়া যায়নি।এরই মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও উদাসীনতায় একটি নবজাতক চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পরিচয়হীনভাবে অবস্থান করা ওই মানসিক প্রতিবন্ধী নারী সোমবার (১৪ মার্চ) রাতে তিনটি শিশুর জন্ম দেন। যমজ সন্তান জন্ম দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় এদিন রাতেই একটি চুরি হয়ে যায়। বাকি দুইটাকে দুইজন নিঃসন্তান দম্পতির কাছে দত্তক দেয়া হয়েছে।

মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। ‌ কখনো হাসপাতালের বারান্দায় অথবা সিঁড়িতে অযত্নে আর অবহেলায় মানবেতন জীবনযাপন করছেন পরিচয়হীন এক প্রতিবন্ধী নারী। হাসপাতালে আগত রোগীর স্বজন বা হাসপাতালের কর্মচারীরা কোনও খাবার দিলে ক্ষুধা নিবারণ হয়। তা না হলে দিন পার করতে হয় আনাহারে। দীর্ঘ প্রায় ১ বছর যাবৎ হাসপাতালের এখানে সেখানে ঘুরতে দেখা যায় মানসিক প্র্রতিবন্ধী এই নারীকে। অথচ  দেখার যেন কেউ নেই!

জানা গেছে, সম্প্রতি অভিভাবকহীন প্রতিবন্ধী সেই নারী অন্তঃসত্ত্বা। পরবর্তীতে প্রতিবন্ধী সেই নারীকে পাবনা  জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই প্রতিবন্ধী নারী ফুটফুটে তিনটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। কিন্তু সকাল হতে না হতেই তিনটি সন্তানের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাকি দুই নবজাতককে দত্তক নিয়েছে বলে দাবি করেছেন দুই নিঃসন্তান সন্তান সম্প্রতি।

পাবনা জেনারেল হাসপাতাল সিনিয়র নার্স আফরোজা পারভিন বলেন, অনেক দিন ধরে হাসপাতালে প্রতিবন্ধী নারী অজ্ঞাত পরিচয়ে ভর্তি আছে, তার চিকিৎসাও দেয়া হচ্ছিল। অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী তিনটি ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক মোঃ ওমর ফারুক মীর জানান, হাসপাতালে লোকবল সংকট থাকায় কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর তিনটি সন্তান প্রসবের কথা স্বীকার করলেও ঘটনায় নিজেদের দায় নিতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের পরিচালক জানান, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ  দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় এখনো থানায়  কোনও লিখিত অভিযোগ দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি জানার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।