সরকার ভাই-ব্রাদারের অর্থনীতি চালু করেছে : জোনায়েদ সাকি

সরকার ভাই-ব্রাদারের অর্থনীতি চালু করেছে : জোনায়েদ সাকি

সরকার ভাই-ব্রাদারের অর্থনীতি চালু করেছে : জোনায়েদ সাকি

সঠিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিপরীতে এই সরকার অদক্ষতা, দুর্নীতি, লুটপাটের মাধ্যমে ভাই - ব্রাদারের অর্থনীতি চালু করেছে। দ্রব্য মূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতি, অনিয়ত্রিত বাজার ব্যবস্থা জারির মাধ্যমে রাষ্ট্র মানুষকে ভিক্ষুকের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে এ সরকারের কোন জবাবদিহিতা নেই।

শনিবার (১৯ মার্চ ) পাবনা প্রেসক্লাবে “ভবিষ্যত বাংলাদেশের রূপরেখা” শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, কতৃত্ববাদী, ফ্যাঁসিবাদী সরকার নিজেদের লোকজন আত্মীয়স্বজনদের দুর্নীতি লুটপাটের লাইসেন্স দিয়েছে। এ সরকারের পদত্যাগ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান। নির্দলীয়,নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করেন। তিনি বলেন,সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে দেশে ভয়ংকর বিভাজন সৃষ্টি করছে।

গণসংহতি আন্দোলনের পাবনা সদর উপজেলা আহ্বায়ক মির্জা রানা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সভায় আরো বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু, পাবনা জেলা সংগঠক কামরুল হাসান লিটন, সানোয়ার হোসেন,  আবু ওয়াহেদ অনিক, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে আগামী ২৮ মার্চ ডাকা অর্ধদিবস হরতালের স্বপক্ষে তিনি সহায়তা কামনা করেন।

তিনি বলেন, এ সরকার দেশে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। বিভাজনের ফলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে পড়ে যাবে। এ সরকার  দেশকে নানা ধরণের বিপদের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।  নৈরাজ্য শাসনের দিকে ধাপিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সমর্থনে ফাটল ধরেছে। তাই ফ্যাঁসিবাদী এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।স্থায়ীভাবে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

দেশে মুক্তিযোদ্ধের পক্ষ বিপক্ষ বলে দেশকে বিভাজন করে ফেলেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে দেশ ভাগ করে ফেলেছে। চাকরি দেয়ার ক্ষেত্রে আজ কোন পরিবারের সন্তান তা দেখা হচ্ছে। পিতা কী করেছেন না করেছেন তা বহন করতে হবে কেন সন্তানকে। কোন মানুষ তার জীবনের ন্যায্য প্রাপ্তি পাচ্ছে না।

দেশে উন্নয়নের নামে মানুষকে বিভিন্ন ধরণের অসুবিধার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। কৃষক ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। তারা বিভিন্ন হয়রানির শিকার হচ্ছে। বাজার ব্যবস্থা নেই। খাদ্য নিয়ন্ত্রণ নেই।  দেশ ও প্রবাসীদের ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই।

দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সরকার অত্যাচার, লুটপাট, সিন্ডিকেটের লাইসেন্স দিয়েছে। মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। আওয়ামীলীগের উকালতি করছে কিছু অগণতান্ত্রিক লোক। তারা বলছে দেশ ভালোই চলছে। এমন গণতন্ত্রই ভালো।

এই ঊদ্ভট, উগ্র, ফ্যাঁসিবাদী সরকারের ইচ্ছে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভোট ডাকাতি করে কর্তৃত্ববাদী কায়েম করা।জোরজুলুম,খুন, গুম, ত্রাসের মাধ্যমে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা যায় না। অল্পদিনের মধ্যেই তা ভেঙ্গে পড়ে। নিজেদের স্বার্থে বিচারকে ব্যবহার করে অবিচারকে ন্যা বিচার বলা যায় না।’ তিনি বলেন, ভালো কাজ করলে জণগণের সামনে আসতে ভয় কেন?   এক দলীয় বিত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। 

তিনি বলেন, এ সরকার গত ২০১৪ ও ২০১৮ নির্বাচনের ছকেই আগামী নির্বাচন করতে চায়। কাজেই এই সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে গঠিত একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধিনেই কেবল গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে নক্শা নির্বাচন কশিশন গঠিত হতে হবে। গত ১৩ বছর জোরপূর্বব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে দমন, নিপীড়ন হত্যা, গুম নির্যাতন কায়েম করেছে। 

তিনি বলেন, আড়াই কোটি মানুষ আজ দারিদ্র্যসীমার মধ্যে বাস করছে। প্রতিটি নাগরিকের মর্যাদা রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। আজ মর্যাদা হানি ঘটিয়ে টিসিবির পিছ পিছ দৌঁড়াতে হচ্ছে।