১ যুগ পর চাঁদরাতে ফিরছেন জেমস

১ যুগ পর চাঁদরাতে ফিরছেন জেমস

১ যুগ পর চাঁদরাতে ফিরছেন জেমস

নগরবাউল জেমসের নতুন গান পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন তার ভক্তরা। কারণ মাঝে বয়ে গেলো একযুগ। অনেকে ধরেই নিয়েছেন- তিনি সম্ভবত আর নতুন গানে ফিরছেন না। কিংবা নিয়েছেন অবসর। কারণ, অসংখ্য গানের লোভনীয় সব প্রস্তাব জেমস ফিরিয়েছেন গেল একযুগে।

বিপরীতে জেমস বারবারই বলেছিলেন, ‘নতুন গান প্রকাশের পরিবেশ নেই। পরিবেশ-পরিস্থিতি হলে ভাববো।’অবশেষে জেমস খুঁজে পেলেন সেই পরিবেশ। প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিলেন নতুন গান। এখন শুধু চাঁদরাতের অপেক্ষা। এরমধ্যে গানটির রেকর্ডিং ও ভিডিও নির্মাণ হয়েছে। শিগগিরই জানানো হবে বিস্তারিত।

জেমস মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন বলেন, ‘টানা ১২ বছর পর একক গান নিয়ে হাজির হচ্ছেন ভাই। এটা আমাদের সবার জন্যই আনন্দের। গানটি প্রকাশ হবে চাঁদরাতে। আর সেই গানটির সাথে অভিষেক হচ্ছে নতুন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানেরও। এটাও একটা আনন্দের বিষয়।’

জানা গেছে, জেমসকে নিয়ে চমকে দেয়া এই নতুন প্রতিষ্ঠানটির নাম বসুন্ধরা ডিজিটাল। এদিকে জেমসের নতুন গান প্রকাশের খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন প্রিন্স মাহমুদ। নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে তিনি জানান, জেমস এমন একজন রকস্টার যার ১০০ জনের মধ্যে কেউ নেই। তালিকাটা শুরু হবে ১০১ থেকে।

প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ‘রকস্টার কি জানেন তো? রকস্টার কাউকে কুর্নিশ করে না। বড় গলায় নিজের কথা বলে না। এদিক-ওদিক গিয়ে কোন চ্যানেল মালিককে, কোনো ক্ষমতাবানকে, কোনো সংবাদ পত্রকে তৈল-তোয়াজ করে না। গত ১০০ বছরে বাংলা গানে এটা পেরেছেন একমাত্র জেমস। তার কাজ কথা বলে, তার সময় কথা বলে। তার পরে ১০০ জনের ভেতর কেউ নাই, কেউ না। এর পরের রকস্টারের নম্বর ১০১ থেকে শুরু করতে হবে। আলোচনায় আসার জন্য জেমস কখনো কোনো ধরনের কাজ করেন না। প্রিন্স বলেন, ‘আলোচনায় আসার জন্য কোন ‘খোকা চ্যানেলে’ কোন ‘শিশু পত্রিকা’য় কী লেখা হলো এসব বাচালতা, ধৃষ্টতা আর প্রগলভতায় জেমসের কিচ্ছু আসে যায় না, কিচ্ছু না...’জেমসের রকস্টার সুলভ আচরণের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘রকস্টার যারা চলে গেছেন তাদের কথা আগেই বলেছি। বেঁচে থাকতে আমরা মুল্যায়ন করি না। এ মুহূর্তে যিনি বেঁচে আছেন তার কথাই বলব। দু’একজন এখনো বেঁচে আছেন যাদের কাতারে দাঁড় করানোর দুঃসাহস করতে নেই। জেমসকে কাতারে ফেলবেন না, তিনি কাতারের মানুষ নন।

যাইহোক একজন সত্যিকারের রকস্টারের শ্রেষ্ঠত্বের বিচার হবে ক্লাসিক কাজ, স্টেজ, পারসোনালিটি, গানের ধরে রাখা সম্মানি আর নিজেকে সবার থেকে পৃথক করে রাখার মধ্যে, এটা সবাই পারে না। ’ জেমসের মিউজিক জীবন শুরু আশির দশকের একেবারে শুরুতে, চট্টগ্রামে। বাবার চাকরি সূত্রে চট্টগ্রামে চলে যান। কিন্তু বাবা যখন ঢাকা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ডিরেক্টর জেনারেল হয়ে চলে আসেন। জেমস থেকে যান চট্টগ্রামে।

আজিজ বোর্ডিংয়ের একটি ছোট্ট রুমে চলে সংগ্রামী জীবন। সামনের একটা রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া আর সন্ধ্যায় চলে যেতেন আগ্রাবাদের হোটেলে। সেখানের নাইটক্লাবে বাজাতেন-গান করতেন। ‘ফিলিংস’ এর ভোকাল ছিলেন পাবলো। সে সময় ঘর ছাড়া জেমস ও ‘ফিলিংস’ ব্যান্ড যাদের অনুশীলন থেকে শুরু করে থাকা, খাওয়া সব হতো সেই ‘আজিজ বোর্ডিং’ এর এক কামরায়। সেই কামরায় তাদের কত বিনিদ্র রাত কেটেছে শুধু গান তৈরির নেশায়। এভাবেই জেমসের শুরু।