মাও জেদং এর হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি চুরির দায়ে ৩ জনের সাজা

মাও জেদং এর হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি চুরির দায়ে ৩ জনের সাজা

মাও জেদং এর হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি চুরির দায়ে ৩ জনের সাজা

চীনের সাবেক কমিউনিস্ট নেতা মাও জেদং এর হাতে আঁকা ক্যালিগ্রাফিসহ আরও কিছু শিল্পকর্ম চুরির দায়ে হংকং এ তিনজনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এসব শিল্প কর্মের মূল্য কয়েকশো মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হতে পারে বলে মনে করা হয়।

চুরি করা এসব শিল্পকর্মের আসল মূল্য সম্পর্কে চোরদের কোন ধারণা ছিল না, তারা এক সৌখিন শিল্প সংগ্রাহকের কাছে মাত্র ২৫ ডলারে বিক্রি করেছিল।

ক্রেতা নিজেও জানতেন না তার কেনা ক্যালিগ্রাফিটির আসল মূল্য, তাই তিনি এটিকে কেটে দুভাগ করে ফেলেছিলেন যাতে সহজে ঘরে সংরক্ষণ করা যায়।এই মামলায় তিন আসামীর প্রত্যেককে আড়াই বছর করে সাজা দেয়া হয়েছে।

মাও জেদং এর হাতে আঁকা ক্যালিগ্রাফিতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির এক বৈঠকের বিস্তারিত বিবরণ এবং তার লেখা কবিতার কয়েকটি স্তবক রয়েছে।

এটির মালিক দাবি করছেন, এর মূল্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হতে পারে, তবে এই মূল্য কেমন করে নির্ধারণ করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।দু'হাজার বিশ সালের সেপ্টেম্বরে এক বিরাট ডাকাতির সময় এগুলো খোয়া যায়। একজন সুপরিচিত স্ট্যাম্প এবং বিপ্লবী শিল্পকর্ম সংগ্রাহক ফু চুংশিয়াও এর বাড়িতে ঢুকে তিন ব্যক্তি এগুলো লুট করে।

এরা অ্যান্টিক স্ট্যাম্প, তামার মুদ্রা এবং মাও জেদং এর আরও কয়েকটি ক্যালিগ্রাফিও নিয়ে যায়। ঘটনার সময় ফু চুংশিয়াও চীনের মূল ভূখণ্ডে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, লুট হওয়া সব শিল্পকর্মের মোট মূল্য হবে প্রায় ৬৪ কোটি ডলার।

পুলিশ এসব চুরি যাওয়া শিল্পকর্ম উদ্ধারে জনগণের সাহায্যের জন্য আবেদন জানানোর পর একজন ক্রেতা মাও জেদং এর লেখা পাণ্ডুলিপিটি পুলিশের কাছে জমা দেন।সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট পত্রিকা জানায়, হো ইক-চিউ (৪৬), নং উইং-লান (৪৫) এবং পিং কেই (৪৮) এই ঘটনায় নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে।

আদালতে মামলার শুনানিতে বলা হয়, এই তিনজন খুবই পাকা চোর এবং মি. ফু যখন দেশের বাইরে ছিলেন তখন তার বাড়িতে এরা টার্গেট করে।চুরি যাওয়া বেশিরভাগ জিনিস এখনো উদ্ধার করা যায়নি।দু'হাজার উনিশ সালে মাও জেদং এর ক্যালিগ্রাফিক স্বাক্ষরসহ লেখা এক চিঠি নিলামে পাঁচ লাখ ১৯ হাজার পাউন্ডে বিক্রি হয়েছিল।

সূত্র : বিবিসি