হাসপাতালের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় রোগীকে হুমকির অভিযোগ পামেক ছাত্রলীগ সম্পাদকের বিরুদ্ধে

হাসপাতালের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় রোগীকে হুমকির অভিযোগ পামেক ছাত্রলীগ সম্পাদকের বিরুদ্ধে

হাসপাতালের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় রোগীকে হুমকির অভিযোগ পামেক ছাত্রলীগ সম্পাদকের বিরুদ্ধে

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসকের কর্তব্যে অহবেলা নিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ায় এক ছাত্রলীগ নেতাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকী দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পাবনা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম নাহিদের বিরুদ্ধে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা রুহুল আমিন পাবনা সদর থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন। এরপর থেকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য প্রভাবশালী নেতাদের দিয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নাহিদ চাপ প্রয়োগ করছেন বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

ছাত্রলীগ নেতা রুহুল আমিন জানান, সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে অস্ত্রপাচার পরবর্তী চিকিৎসার জন্য গত ১০ মে সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা: জাহেদী হাসান রুমীর নিকট যান তিনি। ডা: রুমীর সহযোগিরা আমাকে তার সাথে দেখা করতে বাধা প্রদান করেন। পরে ২১২ নং কক্ষে গিয়ে ডা: রুমীর সাথে দেখা করলে তিনি চিকিৎসা না দিয়ে তার প্রাইভেট চেম্বারে যেতে বলেন। আমি এর প্রতিবাদ জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দিতে গেলে সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা আমার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রচার হলে ওই চিকিৎসকসহ বিভিন্ন ব্যক্তি আমাকে অভিযোগ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। এরই এক পর্যায়ে ০১৭৩৫০৪০৩৪৮ নং থেকে পাবনা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম নাহিদ ফোন করে সাংবাদিকদের দেয়া সাক্ষাৎকার প্রত্যাহার ও পূর্বের দেয়া সাক্ষাৎকার ভুলবশত: হয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিতে বলেন। আমি না দেয়ায় বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করা এবং ফলাফল ভালো হবে না বলে গালিগালাজ ও হুমকী দিতে থাকেন।

রুহুল আমিন আরো জানান, নাহিদের হুমকীর পর বিভিন্ন অপরিচিত ব্যক্তি আমার ঈশ্বরদীর বাড়ি এবং পাবনার অবস্থান করা ছাত্রাবাসে এসে আমার খোঁজ করতে থাকে। পরে পুলিশী নিরাপত্তায় আমি প্রথমে ঈশ^রদী এবং পরে রাজশাহী চলে আসি। আমি বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতা ভুগছি।

এছাড়াও পামেক ছাত্রলীগ নেতা নাহিদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোম্পানীর ঔষুধ লেখার বিনিময়ে প্রতিমাসে উৎকোচ গ্রহণ, পাবনা মেডিকেল কলেজের পুকুর দখল করে মাছ চাষ ও নির্দিষ্ট ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেয়ার তদবিরসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।

তবে এসব বিষয় অস্বীকার করে পামেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম নাহিদ বলেন, রুহুল আমিনকে আমি কোন হুমকী দেইনি, তিনি অসত্য অভিযোগ করেছেন। বরং তাকে আমি নিজেই চিকিৎসা দিয়েছি। পদ ব্যবহার করে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।

পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে  দেখছি। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে তার বিরুদ্ধে।