উত্তর কোরিয়ার কোভিড পরিস্থিতি এখনো রহস্যজনক

উত্তর কোরিয়ার কোভিড পরিস্থিতি এখনো রহস্যজনক

প্রতীকী ছবি

কোভিড ১৯ দুই বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বের বাকি অংশকে বিধ্বস্ত করে দিলেও বিশেষজ্ঞদের মতে উত্তর কোরিয়া একটি অসম্ভব দাবি জানিয়ে আসছিল যে দেশটিতে একজনও কোভিডে আক্রান্ত হননি।

মে মাসের মাঝামাঝি এসে এ চিত্রের পরিবর্তন ঘটে। উত্তর কোরিয়া তখন সন্দেহভাজন কোভিড আক্রান্তের একটি বিষ্ফোরক সংখ্যা প্রকাশ করে এবং এটিকে ‘প্রধান জাতীয় জরুরি অবস্থা’ হিসেবে অভিহিত করে এ অবস্থা মোকাবেলার জন্য দেশটির সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হয়।

অনেক বিদেশী সরকার এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠী আরো খারাপ অবস্থার আশঙ্কা করেছিল যে উত্তর কোরিয়ার প্রাদুর্ভাব এত ভয়াবহ হয়ে উঠেছে এমনকি পিয়ংইয়ং এটিকে আর লুকানোর চেষ্টা করতে পারেনি।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বারবার বলেছে যে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন একটি বৈঠকের সভাপতিত্ব করেছেন যেখানে তিনি ‘সারা দেশে মহামারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও উন্নতির একটি ইতিবাচক মূল্যায়ন করেছেন।’

একাধিক বিদেশী গণমাধ্যম অনুসারে জানা যায়, পরে একই দিনে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে আংশিকভাবে লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তর কোরিয়া যদি সত্যিই সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্মুখীন হয় তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ফাইজার বা মার্কের মতো প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত কোভিড-১৯ চিকিৎসার ওষুধ বিষয়ক বিধানগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের সহায়তা যদি উত্তর কোরিয়ার স্বয়ংসম্পূর্ণতার দাবিকে দুর্বল করে তবে দেশটি সে সহায়তা গ্রহণ নাও করতে পারে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা