পদ্মা সেতু : গুরুত্ব বাড়বে বেনাপোল স্থলবন্দরের

পদ্মা সেতু : গুরুত্ব বাড়বে বেনাপোল স্থলবন্দরের

ফাইল ছবি

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সংবাদের পর থেকেই যশোরের সর্বসস্তরের মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। অল্প সময়ে ঢাকা যাতায়াতই শুধু নয় এই সেতু চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সাথে এই জেলাতেও ঘটবে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার। দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোল বন্দরের গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পাবে। বাড়বে প্রবৃদ্ধি। তাছাড়া পচনশীল দ্রব্য যেমন কাঁচা শাকসবজি, মৎস রেণুপোনা দ্রুত সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন কী বিদেশেও পাঠানো সম্ভব হবে। ফুল চাষের সাথে যারা জড়িত তাদের জন্যেও শুভবার্তা এই পদ্ম সেতু উদ্বোধন।

ইতোমধ্যে সেতু মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ২৫ জুন এই সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই থেকে সারা দেশের মতো যশোরের মানুষও শুরু করেছে উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনায় ক্ষণগণনা। এই জেলা থেকে এখন ঢাকা যেতে সড়ক পথে সময় লাগে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। কখনো-কখনো ঘাটেই বসে থাকতে হয় দীর্ঘ সময়। আর পদ্মা সেতু দিয়ে সকালে ঢাকায় প্রয়োজনীয় কাজ সেরে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতে পারবে এই স্বপ্নে বিভোর সকলে।

যশোরের সাংস্কৃতিকজন হারুন অর রশিদ বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে যশোরের মানুষ তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকায় যেতে পারবে এবং কাজ সেরে দিনেই ফিরতে পারবে। তাছাড়া যশোরের পণ্য অল্প সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছানো যাবে। তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে বিভিন্ন স্থানে ব্যবসা কেন্দ্র গড়ে উঠবে।

পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা মিঠু বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে এই অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে পাশাপাশি এই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। যার ফলে বেকারদেরও কর্মসংস্থান হবে।
সূত্র : বাসস