উষ্ণতার জন্য দায়ী মিথেন নির্গমন কমাতে উদ্যোগ

উষ্ণতার জন্য দায়ী মিথেন নির্গমন কমাতে উদ্যোগ

উষ্ণতার জন্য দায়ী মিথেন নির্গমন কমাতে উদ্যোগ

বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য মূলত কার্বন নির্গমনকে দায়ী করা হয়৷ তবে মিথেনের দায়ও কম নয়, কারণ এক-চতুর্থাংশ বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য এই গ্যাস দায়ী৷

 মূলত তিনটি উৎস থেকে মিথেন নির্গমন হয়৷ ৪০ শতাংশ হয় গবাদিপশুর খামার থেকে৷ ২০ শতাংশ আবর্জনার স্তূপ থেকে৷ বাকিটা কয়লা, তেল ও গ্যাস উত্তোলন ক্ষেত্র থেকে৷

বিজ্ঞানীরা বলছেন কয়লা উত্তোলনের সময় যে মিথেন নির্গমন হয় সেটা দূর করা কঠিন৷ তবে তেল ও গ্যাস উত্তোলনের সময় নির্গত হওয়া মিথেনের পরিমাণ কম খরচে ও সহজে কমানো কিংবা বন্ধ করা সম্ভব৷

তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র থেকে তিনভাবে মিথেন নির্গমন হয়৷ এক, স্ক্রু ঢিলা কিংবা পাইপ পুরনো হওয়ার কারণে ছিদ্র তৈরি হলে সেখান দিয়ে মিথেন বের হতে পারে৷ দুই, পাইপে গ্যাসের চাপ কমানোর জন্য অনেকসময় বায়ুমণ্ডলে মিথেন ছেড়ে দেয়া হয়, যা ‘ভেন্টিং' নামে পরিচিত৷ সাধারণত রক্ষণাবেক্ষণের সময় এটা করা হয়৷ এবং তিন, ভেন্টিংয়ের সময় বের হওয়া মিথেন পোড়ানো, যা ‘ফ্লেয়ারিং' নামে পরিচিত৷

আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা আইইএ বলছে, বিদ্যমান প্রযুক্তি ব্যবহার করে তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলো মিথেন নির্গমন ৭৫ শতাংশ কমাতে পারে৷ যেমন, নিয়মিত দেখাশোনার মাধ্যমে পাইপের ছিদ্র বন্ধের ব্যবস্থা করা যেতে পারে৷ এছাড়া ভেন্টিং ও ফ্লেয়ারিং না করে কম্প্রেসার ডিভাইসের মাধ্যমে গ্যাস ধরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ শুধু জরুরি সংস্কার কাজের সময় যতটুকু গ্যাস পোড়ানো প্রয়োজন ততটুকু পোড়ানোর কথা বলছেন তারা৷ বাকি গ্যাস বিক্রি করে কোম্পানিগুলো কিছু আয়ও করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

মিথেন নির্গমন কমাতে বিভিন্ন দেশের সরকার আইন করার উদ্যোগ নিচ্ছে৷ যেমন মিথেন নির্গমনের পরিমাণ সম্পর্কে জানাতে কোম্পানিগুলো বাধ্য করতে আইন করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ এছাড়া নিয়ম করে ছিদ্র বন্ধ করা এবং ভেন্টিং ও ফ্লেয়ারিং নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেছে সংস্থাটি৷

সূত্র : ডয়চে ভেলে