মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ব্রিটিশদের বিষয়ে কথা বলা উচিত : ক্রেমলিন

মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ব্রিটিশদের বিষয়ে কথা বলা উচিত : ক্রেমলিন

ছবি: সংগৃহীত

ক্রেমলিন বলেছে যে পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার সৈন্যদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সাথে লড়াই করার জন্য গত সপ্তাহে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই ব্রিটিশ নাগরিকের বিষয়ে মস্কোর সাথে কথা না বলে যুক্তরাজ্যের উচিত ইউক্রেনের দোনেস্ক অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী-নিয়ন্ত্রিত অংশের নেতাদের সাথে কথা বলা।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মঙ্গলবার মস্কোতে সংবাদদাতাদের বলেছেন যে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ, এইডেন অ্যাসলিন এবং শন পিনারের ভাগ্যের বিষয়ে মস্কোর সাথে কথা বলেনি। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কথিত ডোনেটস্ক পিপলস রিপাবলিক সুপ্রিম কোর্ট এই দুজন ব্রিটিশ নাগরিক ও মরক্কোর নাগরিক সাউদুন ব্রাহিমের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষে ভাড়াটে সৈনিক হিসেবে যুদ্ধে যোগ দেয়ার অভিযোগ এনেছে এবং ৯ জুন মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছে।

পেসকভ বলেছেন, তাদের উচিত সেই দেশের কর্তৃপক্ষকে সম্বোধন করা যারা এই আদেশ জারি করেছে এবং তারা রাশিয়ান ফেডারেশন নয়।

ব্রিটেন, জাতিসঙ্ঘ, ইউক্রেন ও জার্মানি মৃত্যুদণ্ডের নিন্দা করেছে।

আসলিনের পরিবার বলেছে যে ফেব্রুয়ারিতে যখন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল তখন আসলিন এবং পিনার ইউক্রেনে বসবাস করছিলেন এবং ‘ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য হিসাবে, তাদের সাথে অন্যান্য যুদ্ধবন্দীদের মতোই সম্মানের সাথে আচরণ করা উচিত।

সৌদুন ব্রাহিমের বাবা ১৩ জুন বলেন, তার ছেলেও ইউক্রেনের নাগরিক এবং তার সাথেও সেই অনুযায়ী আচরণ করা উচিত।

ব্রিটেন তার নাগরিকদের শাস্তিকে জেনেভা কনভেনশনের একটি ‘গুরুতর লঙ্ঘন’ বলে নিন্দা করেছে। এই আইনের অধীনে যুদ্ধবন্দীরা যুদ্ধের কারণে অব্যাহতি পাবার যোগ্যতা রাখেন এবং যুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য তাদের বিচার করা উচিত নয়।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী লিজ ট্রাস ১৪ জুন বলেন যে তিনি দুজনের মুক্তি নিশ্চিত করতে যা যা করা দরকার তা করবেন।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা