ছুটি শুরুর দুদিন আগেই হল ছাড়ার নির্দেশ, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

ছুটি শুরুর দুদিন আগেই হল ছাড়ার নির্দেশ, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

ছুটি শুরুর দুদিন আগেই হল ছাড়ার নির্দেশ, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আগামী ২ জুলাই থেকে ১৫ দিনের ছুটি শুরু হচ্ছে। ছুটি শুরুর দুইদিন আগেই ৩০ জুন সকাল দশটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রবিবার (২৬ জুন) রেজিস্ট্রার দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ দিকে, ১ জুলাই পর্যন্ত কয়েকটি বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তারা হল বন্ধের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।

জানা গেছে, আগামী ৩০ জুলাই হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের স্নাতক ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এবং ১ জুলাই ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা রয়েছে। এর মাঝে হঠাৎই হল বন্ধের নোটিশে বিপাকে পড়েছেন এসব বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া হঠাৎ ছুটি ঘোষণায় টিকেট করা নিয়ে ও টিউশন নির্ভর শিক্ষার্থীরা নানা সমস্যার কথা উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম মুসাদ্দিক বলেন, ৩০ জুন আমাদের পরীক্ষা থাকা স্বত্বেও হল বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তে আমরা হতবাক হয়েছি। যারা হলে অবস্থান করে তারা ওই সময়টায় কোথায় থাকবে? প্রশাসনের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়ছে।

আইসিটি বিভাগে শিক্ষক ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে দিতে শুক্রবার সত্ত্বেও ১ জুলাই রুটিনে পরীক্ষা রেখেছি। এখন হঠাৎ হল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় কী করব সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আগামীকাল মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে এভাবে হল বন্ধ করে দেওয়াটা সমীচিন নয়। শিক্ষার্থীদের দিকে তাকিয়ে ছুটির আগের দিন পরীক্ষা রেখেছি তবুও মনে হয় শেষ রক্ষা হবে না।

আরিফুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা যারা টিউশন করি তাদের জন্য দীর্ঘ ছুটি খুবই কষ্টকর। অভিভাবকরা এটা মানতে চান না। আবার বাইরে কোথাও থাকারও সুযোগ নেই। ৩০ তারিখ চলে যেতে হলে মাস শেষ না হওয়ায় হয়তো বেতনটাও পাওয়া হবে না।

তাসফিয়া ইয়াসমিন নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে বিজ্ঞপ্তির একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই। ২৮, ২৯ তারিখ পরীক্ষার শিডিউল দিয়ে ৩০ তারিখ সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়তে বলা হয়েছে। ৩০ তারিখ বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গগামী রূপসা এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক ছুটি। তাই চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

স্নাতক শেষ হওয়া সাদিক নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধ হলে হলও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে করে আমাদের চাকরির প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটে। লম্বা ছুটিতেও দীর্ঘদিন হল বন্ধ থাকা উচিত নয়।

প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে বিষয়টি সমীচিন এজন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আতাউর রহমান বলেন, প্রভোস্ট কাউন্সিলের মিটিং থেকে যে সুপারিশ এসেছে আমরা সে অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন দিয়েছি।