শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জাকারিয়া পিন্টুকে কারাগারে প্রেরণ

শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জাকারিয়া পিন্টুকে কারাগারে প্রেরণ

শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জাকারিয়া পিন্টুকে কারাগারে প্রেরণ

পাবনার আদালত সোমবার শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জাকারিয়া পিন্টুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। পাবনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসরাত জাহান মুন্নি তাকে জেলা কারাগারে পাঠান। পাঁচবছর পালিয়ে থাকার পর পিন্টু র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন।

এর আগে পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন আওয়ামীলীগের বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলা ও গুলিবর্ষণ মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জাকারিয়া পিন্টুকে শনিবার কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

পরদিন রোববার পিন্টুকে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বিশেষ নিরাপত্তাজনিত কারণে তাকে রাতেই জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়।

পিন্টু পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পিয়ারখালী কাঁচাপরীপাড়া মহল্লার মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে। পিন্টু ঈশ^রদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ছিলেন।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ২০১৯ সালে ৩ জুলাই ঈশ^রদী বিএনপির ৯ শীর্ষ নেতার মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষণা করেন বিজ্ঞ আদালত। রায় ঘোষণার দিন থেকেই পলাতক ছিলেন পিন্টু। জাকারিয়া পিন্টুর  এই মামলা ছাড়াও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মোট ২৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৮টি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী তিনি।

উল্লেখ্য, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পথসভা করার কথা থাকলেও বর্ণিত আসামী বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার আন্যান্য আসামীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ^রদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ঈশ^রদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৯৯৭ সালে ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট  দেয়া হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেলে তাদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

২০১৯ সালে ৩ জুলাই পাবনার অতিরিক্ত জেলা জজ মোঃ রুস্তম আলী এক রায়ে জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদন্ড দেন। সেইসঙ্গে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদে কারাদন্ড ঘোষণা করা করেন।