জিলহজের প্রথম ১০ দিন যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন
প্রতীকি ছবি
জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হয়ে থাকে। বৃহস্পতিবার ১৪৪৩ হিজরি সনের চাঁদ দেখা গেলে শুক্রবার (১ জুলাই) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে আগামী ১০ জুলাই (১০ জিলহজ) ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
যারা কোরবানি করার সামর্থ্য রাখেন কিংবা সামর্থ্য রাখেন না, তাদের সবার জন্য জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন অর্থাৎ কোরবানি করার আগ পর্যন্ত কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। যা পালনে রয়েছে অনেক সাওয়াব।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যারা কোরবানি দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে, তারা যেন জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর থেকে কোরবানি সম্পন্ন করা পর্যন্ত নিজ নিজ চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে। (মুসলিম, মিশকাত)
হজরত উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা আরও বর্ণনা করেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন জিলহজ-এর ১০ দিন আসে এবং তোমাদের কেউ কোরবানি করার নিয়ত করে; তখন সে যেন নিজের চুল ও চামড়ার কোনও অংশ না কাটে।’ (মুসলিম)
অতএব যারা কোরবানি করার ইচ্ছা রাখেন তাদের উচিত, জিলহজ মাস শুরু হওয়ার আগে নিজেদের চুল ও নখ কেটে নেওয়া। এগুলো প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নত এবং সাওয়াবের কাজ।
যে বিষয়গুলো মেনে চলা জরুরি :
১. মাথার চুল কাটা কিংবা মাথা ন্যাড়া করা।
২. হাত ও পায়ের নখ কাটা।
৩. মোচ ছেঁটে ছোট করে নেওয়া।
৪. শরীরের অন্যান্য অযাচিত পশম (নাভি ও বগলের নিচের অযাচিত পশম) কাটা কিংবা পশম বিলুপ্তকারী ওষুধ ব্যবহার করা।
হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী জিলকদ মাসের শেষ দিকে এই কাজগুলো সম্পন্ন করা উচিত, যেন জিলহজ মাসের শুরু থেকে কোরবানির দিন পর্যন্ত চুল, মোচ, হাত ও পায়ের নখ এবং শরীরের অযাচিত লোম কাটার প্রয়োজন না হয়।
উল্লেখ, যদি কেউ কোরবানির আগে এ কাজগুলো করে অর্থাৎ চুল, চামড়া বা নখ কাটে তার জন্য কোনও জরিমানা নেই। কেউ এর ব্যতিক্রম করলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
উল্লেখিত বিধি-নিষেধগেুলোর প্রতি যত্নবান হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।