ইভ্যালির সংবাদ সম্মেলনে যা জানালেন চেয়ারম্যান

ইভ্যালির সংবাদ সম্মেলনে যা জানালেন চেয়ারম্যান

সংগৃহীত

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইভ্যালির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইভ্যালির বর্তমান নতুন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ইভ্যালির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। দুটি ওয়্যার হাউসে সর্বসাকুল্যে আনুমানিক ২৫ কোটি টাকার মালামাল রয়েছে। অ্যামাজন কোনো সহযোগিতা করেনি। পাসওয়ার্ড না পাওয়ায় ইভ্যালির সার্ভারে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারী আনতে না পারলে পাওনাদারদের অর্থ পরিশোধ অসম্ভব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বোর্ডের বর্তমান এমডি ও সাবেক অতিরিক্তি সচিব মাহবুব কবীর মিলন, আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মো. শামীম আজিজ, এফসিএ অ্যান্ড এফসিএমএ’র সাবেক চিফ চার্টার্ট অ্যাকাউন্টেন্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ।

ইভ্যালির বর্তমান নতুন বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ইভ্যালির দুই ধরনের পাওনাদার রয়েছে। যারা সাপ্লাইয়ার আর যারা ক্লায়েন্ট। এখানে সাপ্লাইয়ারদের পাওনা বেশি। বর্তমানে ইভ্যালির যে সম্পদ রয়েছে, তাতে পাওনাদারদের সন্তুষ্ট করা অসম্ভব।

তিনি বলেন, ঢাকার সাভারে ইভ্যালির দুটি ওয়্যার হাউসে সর্বসাকুল্যে আনুমানিক ২৫ কোটি টাকার পণ্য রয়েছে। এ ছাড়া নয়টি ছোট পুরাতন কাভার্ডভ্যান ও ৫টি গাড়ি পেয়েছি। তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। আমরা যা পেয়েছি তা পাওনাদারদের টাকার তুলনায় কিছুই না, এটা সমুদ্রের মতো। পাওনাদের টাকা পরিশোধ অনেকটা এক ফোঁটা পানির মতো অবস্থা।ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন বিনিয়োগকারী আনতে পারবেন বলে হাইকোর্টে একটি আর্জি দিয়েছেন। তারা যদি বিনিয়োগকারী আনতে পারেন তবেই কোম্পানি চলবে এবং পাওনাদাররাও টাকা পাবে।