কুষ্টিয়ায় খুনের মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ায় খুনের  মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ায় খুনের মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেরুল ইসলাম (৫০) ও মো. বান্দা ফাত্তাহ মোহনকে (৫৫) গুলি করে হত্যা মামলায় ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।  রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।

যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে তারিক, মোশাররফ হোসেনের ছেলে কামাল রেজা নিপু, আব্দুর রশিদের ছেলে সিরাজুল ইসলাম মাসুদ, নবীর আলীর ছেলে রায়হান আলী এবং সদর উপজেলার কা নপুর গ্রামের চাঁদ আলীর ছেলে সিদ্দিক (বাংলা ভাই)। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সিদ্দিক বাদে সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর পরই কারাদন্ডপ্রাপ্ত চার আসামিকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। দন্ডপ্রাপ্ত আসামি সিদ্দিক পলাতক রয়েছেন। এ মামলায় ১০ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামিদের চাঁদা না দেওয়ায় ২০০৯ সালের ১৫ আগস্ট রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে ভেড়ামারা শহরের রেলবাজার এলাকায় একটি কাপড়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেরুল ইসলাম (৫০) ও কলেজশিক্ষক মো. বান্দা ফাত্তাহ মোহনকে (৫৫) আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ ঘটনার তিন দিন পর ২৮ আগস্ট ভেড়ামারা থানার এসআই শেখ আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২২ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর আদালত এ মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত তারিখে আদালতের বিচারক মামলার ৫ আসামিকে শাস্তির আদেশ দেন।

আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেরুল ইসলাম (৫০) ও কলেজ শিক্ষক মো. বান্দা ফাত্তাহ মোহনকে (৫৫) গুলি করে হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।