শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি নেই তো?
প্রতীকী ছবি
শায়লা শারমীন:শরীরে প্রয়োজনীয় নানা ভিটামিনের মধ্যে অন্যতম হলো ভিটামিন-ডি। বর্তমান সময়ে প্রমাণিত যে নানা শারীরিক সমস্যার পেছনে মূখ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে শরীরে ভিটামিন-ডির ঘাটতি বা অপ্রতুলতা। ছোটবেলায় নিশ্চয়ই বইতে পড়েছেন—ভিটামিন-ডি শরীরে হাড় ও দাঁতের গঠনের জন্য খুবই দরকারি। এই ভিটামিন-ডির অভাবে শিশুদের রিকেট রোগ হওয়ার পাশাপাশি বড়দের অস্টিওপোরোসিস বা হাড় পাতলা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
বিজ্ঞাপন
ভিটামিন-ডির কাজ
রক্তের চাপ বা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে ভিটামিন-ডি। হার্টের ইলেকট্রিক্যাল অ্যাক্টিভিটি রেগুলার রাখা, হাড়-মাংস-জয়েন্টের সুস্থতা নিরূপণ করা ছাড়াও নানা ধরনের ক্যান্সার (স্কিন ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার, কিডনি ক্যান্সার) হওয়ার প্রবণতা কমানো, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট কমানো প্রভৃতি ভিটামিন-ডির গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ। ফলে শরীরে ভিটামিন-ডির মাত্রা ঠিক রাখা অত্যন্ত জরুরি।
সমস্যা
♦ হাড় ক্ষয় হওয়ার প্রবণতা
♦ পেশিতে যন্ত্রণা বা ব্যথা
♦ ক্লান্তিবোধ
♦ মানসিক অবসাদ
♦ সারাক্ষণ অসুস্থতা বোধ হওয়া
♦ প্রচুর চুল পড়া
♦ ঘা শুকাতে অনেক বেশি সময় লাগা
♦ ওজন না কমা
করণীয়
♦ বর্তমান গবেষণায় আরেকটি কথা খুব প্রচলিত, তা হলো ভিটামিন-ডি শরীরের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর অন্যতম পুষ্টি উপাদান। ফলে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে অন্তত ১৫-৩০ মিনিট অবশ্যই রোদে থাকা বা রোদের তাপ শরীরে লাগানো নিশ্চিত করুন। যতটা সম্ভব স্বল্প কাপড় পরিধান করে এবং সানস্ক্রিন না মেখে রোদে দাঁড়িয়ে থাকুন। যাতে সূর্যের আলোকরশ্মি সরাসরি শরীরের ত্বকে বা চামড়ায় পড়ে। কেননা, সূর্যের আলো শরীরে ভিটামিন-ডি তৈরি করে এবং এই ভিটামিন-ডি শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণে সাহায্য করে।
♦ সামুদ্রিক মাছ খান। সামুদ্রিক তৈলাক্ত মাছ, কলিজা (অল্প তেলে রান্না), কুসুমসহ ডিম, মাশরুম, লো ফ্যাট দুধ, পনির, মাখন, ছানা, টক দই, বাদাম প্রভৃতি ভিটামিন-ডির ভালো উৎস।
♦ নিয়মিত ব্যায়াম করুন। যেহেতু শরীরে ৮০ শতাংশ ভিটামিন-ডি তৈরি হয় সূর্যের আলো থেকে। বাকি চাহিদাটুকু পূরণে দৈনিক সাপ্লিমেন্ট হিসেবেও খেতে পারেন শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ঘাটতির সময়ে।
পরামর্শ দিয়েছেন
শায়লা শারমীন
সিনিয়র নিউট্রিশনিস্ট,
ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল, ঢাকা।