আয়ের চেয়ে কোটি টাকা বেশি ব্যয় বিএনপির

আয়ের চেয়ে কোটি টাকা বেশি ব্যয় বিএনপির

আয়ের চেয়ে কোটি টাকা বেশি ব্যয় বিএনপির

বিএনপির আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়েছে। ২০২১ সালে দলটির আয় হয়েছে ৮৪ লাখ ১২ হাজার ৪৪৪ টাকা। বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার ১৭১ টাকা। অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৭২৭ টাকা। অতিরিক্ত অর্থ পার্টির ফান্ড থেকে ব্যয় করা হয়েছে। আগের বছরও দলটির আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি ছিল।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে ২০২১ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয় দলটি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবির খোন্দকারে কাছে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেন। 

পরে রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের জানান, ২০২১ সালে বিএনপির আয় হয়েছে ৮৪ লাখ ১২ হাজার ৪৪৪ টাকা। বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার ১৭১ টাকা। অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৭২৭ টাকা। অতিরিক্ত অর্থ পার্টির ফান্ড থেকে ব্যয় করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দলীয় সদস্যদের চাঁদা, নমিনেশন ফরম বিক্রি, অনুদান, ব্যাংকের সুদ হিসাব থেকে দলের আয় আসে। অফিস স্টাফদের বেতন, বোনাস, ইউটিলিটি বিল, ত্রাণ সহায়তা, আহত নেতা-কর্মীদের সহযোগিতাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় হয়।

তিনি বলেন, অবৈধ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সংবিধান তো পরিবর্তন করা যায়। এর আগেও আন্দোলনের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। 
তিনি বলেন, বিএনপি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থাশীল নয়। এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কথাবার্তা, আলাপ-আলোচনা দেখছি, সেটা একেবারেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। 

এদিকে ২০২০ সালে বিএনপি’র আয় ছিল ১ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার ১৪৯ টাকা। আর ব্যয় ছিল ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫২ হাজার ৫১৩। সে সময় ব্যয় বেশি হয়েছিল ৫১ লাখ ৯৯ লাখ ৩৬৪ টাকা। 
আইন অনুযায়ী ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিবছর আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে হয়। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দলগুলোকে ২০২০ সালের আর্থিক বিবরণী নিরীক্ষা করে জমা দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছিল ইসি। পরে করোনার কারণে সময় আরও একমাস বাড়ানো হয়।