প্রাণনাশের হুমকি, বুলেট প্রুফ গাড়ি কিনলেন সলমান

প্রাণনাশের হুমকি, বুলেট প্রুফ গাড়ি কিনলেন সলমান

সলমান খান

সম্প্রতি প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন সলমান খান। এমনকী জেরার মুখে লরেন্স বিষ্ণোই স্বীকার করে যে, একবার সলমানকে মারার পরিকল্পনাও করেছিলেন তিনি। তাই সলমান খান তার নিরাপত্তার বিষয়ে আর কোনো ঝুঁকি নিচ্ছেন না। তার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাসভবনে নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি অভিনেতা এখন তার গাড়ির তালিকায় যুক্ত করেছেন একটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি, এমনটাই খবর।

নিজের পাশাপাশি পরিবারের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিত বলিউডের এই সুপারস্টার। গত মাসে মৃত্যুর হুমকি পেয়েছিলেন তিনি। সলমান ও তার পরিবার উভয়েরই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে মুম্বই পুলিশ।

সূত্রের খবর অনুসারে, অভিনেতার অ্যাপার্টমেন্টের নিচে বুলেটপ্রুফ কাচের একটি নতুন গাড়ি দেখা গেছে। ইতোমধ্যেই বুলেটপ্রুফ ল্যান্ড ক্রুজারে যাতায়াত করছেন সুপারস্টার। এবার যুক্ত হলো আরেকটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি। গাড়িটি অত্যাধুনিক মডেল না হলেও যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে তাকে বাঁচাতে পারে।

রিপোর্ট অনুযায়ী লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং একবার তাকে টার্গেট বানিয়েছিলেন। একটি শার্পশুটার তার বাসভবনের বাইরে তার উপর নজর রাখতেন এবং তার গতিবিধি ট্র্যাক করার জন্য রেখেছিল তারা। এই খবর সামনে আসার পরই, বাড়ানো হয়েছে অভিনেতার নিরাপত্তা। জনসাধারণের মধ্যে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় সলমানকে। প্রায় বান্দ্রার রাস্তায় সাইকেল চালাতেন সলমান। এই ঘটনার পর তাকে সাইকেল চালাতেও বারণ করে মুম্বই পুলিশ।

ইতোমধ্যেই সলমান তার আত্মরক্ষার জন্য একটি অস্ত্র লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন এবং একই বিষয়ে আলোচনা করার জন্য মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারের সাথে দেখা করেছিলেন।

মুম্বই পুলিশ এএনআই-কে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সলমান খান সম্প্রতি হুমকির চিঠি পাওয়ার পর মুম্বই পুলিশে আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলেন’।

মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, সলমান খান ও তার বাবাকে বিষ্ণোই গ্যাং হুমকি দেয়ার পিছনে কারণ ছিল তাদের ক্ষমতা প্রদর্শন। ‘গ্যাংটি বড় ব্যবসায়ী ও অভিনেতাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।’ সলমানকে মেরে বাকিদের বার্তা দেয়াই ছিল এই গ্যাঙের উদ্দেশ্য।

সম্প্রতি শাহরুখের সাথে পাঠানের শ্যুটিং করেন সলমান। ওই ছবিতে তাকে দেখা যাবে একটি ক্যামিও চরিত্রে। এছাড়াও টাইগার থ্রির শ্যুট করেন তিনি। এরপরই কভি ইদ কভি দিওয়ালির শ্যুটে ব্যস্ত হয়ে পড়েন অভিনেতা। প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার পর মুম্বই থেকে সেট সরিয়ে নেয়া হয় হায়দ্রাবাদে। সেখানেও সেটে সবসময় দেহরক্ষীকে সাথে নিয়ে ঘুরতেন সলমান।

সূত্র : জি২৪