এশিয়া কাপে ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে সাকিব-মুশফিককে

এশিয়া কাপে ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে সাকিব-মুশফিককে

সংগৃহীত

আসন্ন এশিয়া কাপে মেইক শিপ্ট ওপেনারের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই এশিয়া কাপের জন্য ঘোষিত দলে দুইজন স্বীকৃত ওপেনার রেখেছে বাংলাদেশ। 

দলে দু’জন স্বীকৃত ওপেনার হিসেবে আছেন- আনামুল হক বিজয় এবং পারভেজ ইমন। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের প্রত্যাশা পুরনে   ব্যর্থ হওয়ায়  দলে তাদের সুযোগ পাওয়াটা অনিশ্চিত দলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের ইনজুরি এবং অফ-ফর্মের কারনে এশিয়া কাপের টুর্নামেন্টের বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে শূন্যতা তৈরি হয়েছে।

এশিয়া কাপের দলে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে আজ টাইগারদের পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘বিজয় ও ইমন দলে দুই স্বীকৃত ওপেনার থাকলেও লোকাল ক্রিকেটে ইনিংস ওপেন করে- এমন বেশ কিছু ক্রিকেটার দলে আছেন। সেটা হতে পারে মুশফিকুর রহিম বা সাকিব আল হাসান। মেহেদি হাসান মিরাজ ও মাহেদি হাসানকে নিয়ে চেষ্টা করতে পারি। তাই এশিয়া কাপ নিয়ে চিন্তা করার জন্য আমাদের কাছে অনেক বিকল্প রয়েছে।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একবার ইনিংস ওপেন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে সাকিবের।  গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েন্টি ইন্ডিজের বিপক্ষে ওপেন করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৩৬৭ ম্যাচের পর ইনিংস ওপেন করে মাত্র ৯ রান করেছিলেন সাকিব। সেটিই ছিলো তার একমাত্র ইনিংস ওপেন করার ঘটনা। 

অবশ্য নিজের ক্যারিয়ারে কখনই ওপেনার হিসেবে খেলেননি মুশফিক। তবে ইনিংস ওপেন করার অভিজ্ঞতা আছে মিরাজ-মাহেদির। ঘরোয়া ক্রিকেটে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে প্রায়ই নিয়মিত ইনিংস ওপেন করেন মাহেদি।

সদ্য শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে বেশ কয়েকজন ওপেনার ছিলো বাংলাদেশ দলে। তবে এশিয়া কাপের দলে ঘটলো উল্টো চিত্র। মিডল অর্ডারের জন্য অনেক বিকল্প থাকলেও দলে রাখা হয়নি অতিরিক্ত ওপেনার। এ জন্য বিকল্প ভাবতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে।

মাহমুদ আরও বলেন, ‘এমনটা নয়, আমরা বিকল্পের কথা ভাবছি না, তবে সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হলে, বিকল্প চিন্তার দরকার নেই।’

ওয়ানডে ফরম্যাটের গত এশিয়া কাপে, বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি যখন টানা ব্যর্থ হয়েছিলো, তখন ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে লিটন দাস এবং মেহেদি হাসান মিরাজকে ওপেনিংয়ে পাঠিয়েছিলেন ঐ সময়ে টাইগারদের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ওমন সিদ্বান্ত দারুণ কাজে দিয়েছিলো। লিটন-মিরাজ ১২৫ বলে ১২০ রানের জুটি গড়েছিলেন। তবে দুর্দান্ত শুরুটা ধরে রাখতে পারেনি টাইগারদের মিডল-অর্ডার। পরবর্তীতে ২২২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। আর ফাইনাল হারে ৩ উইকেটে।

সূত্র: বাসস