১০ দফা মেনে নেয়ার আশ্বাস : শান্ত হলেন খুবির শিক্ষার্থীরা

১০ দফা মেনে নেয়ার আশ্বাস : শান্ত হলেন খুবির শিক্ষার্থীরা

ছবি: সংগৃহীত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) হল থেকে রান্নার সরঞ্জাম সরানোর নির্দেশনা বাতিলসহ ১০ দফা দাবিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অপরাজিতা হলের একদল ছাত্রী বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরাও তাদের সাথে যোগ দেন।  কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার পর তারা আন্দোলন স্থগিত করে হলে ফেরেন।

আন্দোলন স্থগিতের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, কিছু যৌক্তিক দাবি জানানো হয়েছে। যেহেতু সব দাবিই কাগজে-কলমে মেনে নেয়া হয়েছে, তাই আপাতত আন্দোলনের সমাপ্তি টানা হলো। দ্রুত যেন দাবিগুলোর বাস্তবায়ন দেখা যায়।

এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট ছাত্রীদের সাথে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ধমক দেয়া থেকে শুরু করে সিট বাতিলের হুমকি দেন। মঙ্গলবার এক ছাত্রী ওই হলে বটি দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করলেও হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেঁচে যান।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রীদের রান্না করার সরঞ্জাম জব্দ করার নির্দেশ দেয় হল কর্তৃপক্ষ। নির্দেশনায় বলা হয়, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, রাইস কুকার, হিটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম না সরালে, যার রুমে এগুলো পাওয়া যাবে তার সিট বাতিল হয়ে যাবে।

শিক্ষার্থীদের ১০ দাবি -

১। রাইস কুকার ও রান্নার সরঞ্জামাদি ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।

২। যৌন হয়রানির প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলার কারণে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও পারিবারিক শিক্ষা তুলে কথা বলায় ক্ষমা চাইতে হবে।

৩। হলে প্রয়োজনে অভিভাবক ও নারী আত্মীয়দের থাকার অনুমতি দিতে হবে।

৪। পানিতে পোকা ও খাবারের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।

৫। প্রভোস্টদের নিজ ডিসিপ্লিনের স্টুডেন্টদের ডেকে ব্যক্তিগত এবং একাডেমিক বিষয়ে হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে।

৬। হলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

৭। যেকোনো পরিস্থিতিতে সিট বাতিলের হুমকি দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

৮। যেকোনো পরিস্থিতিতে হলের ছাত্রীদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে।

৯। আজকের (মঙ্গলবার) ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিগতভাবে হুমকি দেওয়া যাবে না।

১০। দাবি না মানলে প্রভোস্ট কমিটিকে পদত্যাগ করতে হবে।