বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার চতুর্থ ঘোষক ছিলেন জিয়া : হানিফ

বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার চতুর্থ ঘোষক ছিলেন জিয়া : হানিফ

বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার চতুর্থ ঘোষক ছিলেন জিয়া : হানিফ

আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পক্ষে চতুর্থ ব্যাক্তি হিসেবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তার আগে আরো তিনজন ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিল। ঘোষণাপত্র পাঠ করায় যদি স্বাধীনতার ঘোষক হয় তাহলে প্রথম ঘোষক ছিলেন তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান। উনিই প্রথম ২৬ তারিখ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। এরপর ২৬ তারিখ বিকেলে আওয়ামীলীগ নেতা বিল্লাল আহমেদ ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। পরেরদিন ২৭ মার্চ বিল্লাল আহমেদ ও কায়কোবাদ সারাদিন ঘোষণাপত্র পাঠ করতে থাকেন। পরে বিকেল পাঁচটায় জিয়াউর রহমান চতুর্থ ব্যাক্তি হিসেবে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।’

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনাসভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর গ্রেপ্তারের পর সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তানী সেনাবাহিনীতে বাংলাদেশের যে সকল সৈনিকরা আছে তাদেরকে যদি মুক্তিযুদ্ধে নিয়ে আসা যায় তাহলে পাকিস্তানের প্রশিক্ষিত বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে জয় লাভ করা সহজ হবে। সেই বিবেচনায় খোঁজা হচ্ছিল কোনো বাঙ্গালী সেনা কর্মকর্তাকে পাওয়া যায় কী-না। তখন জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম থেকে কর্ণফুলী নদী পার হয়ে কালুরঘাটের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। কোথায় যাচ্ছিলেন কেউ জানে না। এসময় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার দেখা হলে তাকে অনুরোধ করা হয় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করতে। এরপর ২৭ তারিখ বিকেল পাঁচটায় জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন। সেই কারণেই জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানিয়ে বিএনপি প্রচার করে থাকে। তারা বাকী তিনজনকে ভুলে গিয়ে শুধু একজনের কথা মনে রেখেছেন।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন। যার ফলে বাঙ্গালীরা স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চ লাইটের পর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের পূর্বে তিনি রেকর্ড করা বক্তব্যে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। যা পরে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার বিষয়ে জেনেও সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে

 বাঁধা না দিয়ে উল্টো উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি যে বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত ছিলেন তা তার নিজস্ব কর্মকান্ডের মাধ্যমে অজস্র প্রমাণ রেখে গেছেন। পরবর্তীতে হত্যাকারীদের বিচার হলে নিজের নাম সামনে আসবে তাই আইন করে বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বেলা ১১টায় আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম তোহা।