পার্টিতে মদ পানে মাতাল ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী, সমালোচনার ঝড়

পার্টিতে মদ পানে মাতাল ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী, সমালোচনার ঝড়

সংগৃহীত

ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন এক পার্টিতে কয়েকজন সেলিব্রেটি ও বন্ধুর সাথে নাচছেন ও গান গাইছেন। এমন একটি ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর তুমুল সমালোচনা চলছে। এ ঘটনায় বিরোধী দলগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

সমালোচনার জবাবে মারিন বলেছেন, আমি নেচেছি, গান গেয়েছি এবং পার্টি করেছি- এগুলো আইনসম্মত।

এদিকে দেশটির এক বিরোধীদলীয় নেতা দাবি করেছেন, তার ড্রাগ টেস্ট করা উচিত। সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল-জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

তবে মাদক গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৩৬ বছর বয়সী সানা মারিন। তিনি বলেছেন, তিনি কেবল মদ পান করে একটি ‘উন্মাতাল’ পার্টি করেছেন।

প্রায়ই বিভিন্ন সঙ্গীত উৎসবে এ প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত হওয়ার ছবি প্রকাশ পায়। আর এ পার্টি করার বিষয় গোপন করেন না সানা মারিন। গত বছর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পর ক্লাবে গিয়ে পার্টি করার কারণে তিনি ক্ষমা চেয়েছিলেন।

জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ড গত সপ্তাহে মারিনকে বিশ্বের আকর্ষণীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। মারিন ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন।

ফাঁস হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে ফিনিশ এ প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেছেন, ভিডিও করা হচ্ছে জানতেন তিনি। কিন্তু এটি প্রকাশ্যে আসায় হতাশ।

সানা মারিন বলেন, ‘আমি নেচেছি, গান গেয়েছি এবং পার্টি করেছি- এগুলো আইনসম্মত। কিন্তু আমি কখনো এমন পরিস্থিতিতে ছিলাম না যখন আমি কাউকে দেখেছি বা চিনি যারা মাদক ব্যবহার করে।’

বিরোধী দলীয় নেতা রিকা পুরা দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর উচিত স্বেচ্ছায় ড্রাগ টেস্ট করা। কারণ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহের ছায়া ছড়াচ্ছে।

সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী মারিন বলেছেন, ‘আমার একটি পারিবারিক জীবন রয়েছে, আমার একটি কর্মজীবন রয়েছে এবং বন্ধুদের সাথে কাটানোর মতো সময় আমার আছে। যা আমার বয়সী একজন মানুষের জীবনের মতোই।’

আচরণে পরিবর্তন আনার কোনো প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন না জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত আমি যেমন মানুষ আছি তেমনই থাকব এবং আশা করি তা গ্রহণযোগ্য হবে।’

সূত্র:নয়াদিগান্ত