ফুলবাড়ী সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে আসা নকল সিগারেট জব্দ

ফুলবাড়ী সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে আসা নকল সিগারেট জব্দ

ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে আসা ৪০ হাজার শলাকা  ডারবি নকল সিগারেট জব্দ করেছেন দিনাজপুরের  কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট উত্তর সার্কেলের  প্রিভেন্টিভ টিম। 

২১ আগস্ট (রোববার) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সিগারেটগুলো জব্দ করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১৩ আগস্ট গাজীপুর চান্দুরা থেকে বাবু (০১৭১০১৯৯৫৪৩) নামে জনৈক ব্যক্তি ৭০৮৫৮০০০০১৫০৮৮/২ সি,এন নাম্বারে দিনাজপুর ফুলবাড়ী সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে বড় চার কাটুন (৮০ হাজার শলাকা) ডারবি নকল সিগারেট পাঠান।

বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোবাকো কোম্পানির ডিলার দিনাজপুরের মৌলভী ব্রাদার্সে কর্মরত ম্যানেজার ও সুপারভাইজারগণ জানতে পেরে সাংবাদিকসহ স্থানীয় কাউন্সিলর, প্রশাসন ও থানা পুলিশকে জানায়।ও ই কার্টুনের প্রাপক জনৈক নূরুল ইসলাম (মোবাইল নং ০১৭৬১৫৯৪৭৯৮) বুকিং কৃত কার্টুন নিতে না আসলে এক পর্যায়ে ১৭ আগস্ট (বুধবার) সন্ধায় ফুলবাড়ী থানার উপ পুলিশ পরির্দশক মো. মুকতাদি ওই নাম্বারে কথা বলে প্রাপকে মাল নিতে আসার কথা বলে কিন্তু বিষয়টি বুঝতে পেরে পরে চতুর চক্রটির কেউ না আসলে মৌলভী ব্রাদার্সের সত্তাধিকারী মো. শামিম কবিরের সঙ্গে কথা বলে গত ২০ আগস্ট রাতে ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক টাস্কফোর্স কমিটির মেম্বার ও ক্যাব কর্মকর্তা মাসউদ রানা বিষয়টি ঢাকা কাস্টমসকে জানালে ২১ আগস্ট (রবিবার) সকাল সাড়ে ১১ টায় দিনাজপুর কাস্টমস এর একটি প্রিভেন্টিভ টিম ফুলবাড়ী পৌরসভা এলাকায় কাজি রোড়ে অবস্থিত সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে এসে ওই নকল সিগারেটের বড় দুটি কাটুন (৪০ হাজার শলাকা) জব্দ করে নিয়ে যায়।যার আনুমানিক মূল্য ২ লহ্ম টাকা।

৪০ হাজার শলাকায় ১ লহ্ম ৪৪ হাজার টাকা সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। কাস্টমস কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে টিমে সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শামীম হোসেন, নেফাউর রহমান, মামুন আহমেদ পরির্দশক মাসুদ রানা সঙ্গে ছিলেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর প্রেসক্লাব, সুজন ও জেলা ক্যাবের নির্বাহী সদস্য উপজেলা ক্যাবের সভাপতি এবং ধূমপান ও তামাক নিয়ণন্ত্রণ কমিটির মেম্বার মাসউদ রানাসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী ও মৌলভী ব্রাদার্সে কর্মরত প্রতিনিধিগণ। কুরিয়ার সার্ভিসের ম্যানেজার নাইম হাসান জানান, ১৬ আগস্ট রাতে সম পরিমান দুটি কার্টুন জনৈক ব্যক্তি এসে নিয়ে যায়। প্রায় দুই মাস থেকে এই কাটুন গুলো আসছে। আমরা জানতাম না ভিতরে কি মাল আসছে। তবে সি. সি ফুটেজ দেখে এবং উল্লেখিত নাম্বার ট্রাক করে এই চক্রটিকে আইনের আওতায় নিয়ে আনা সম্ভব বলে সচেতন মহল মনে করেন।