যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া শুরু

যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া শুরু

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ‘উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকি’ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া সোমবার সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে তাদের সবচেয়ে বড় যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার এই যৌথ মহড়া দুই সপ্তাহ ধরে চলবে। এ মহড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে উত্তর কোরিয়ার আক্রমণের প্রতিক্রিয়াসহ বিভিন্ন পরিস্থিতির অনুকরণে মাঠ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

উত্তর কোরিয়াকে আলোচনার টেবিলে আকর্ষণ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এবং করোনাভাইরাস মহামারীজনিত কারণে মিত্র দেশ দুটি ২০১৭ সাল থেকে মহড়ার দিনক্ষণ পেছাতে থাকে অথবা স্থগিত রাখে।

তবে, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, তাদের মহড়াগুলো প্রতিরক্ষামূলক। উত্তর কোরিয়া একে আক্রমণ করার প্রস্তুতি হিসেবে চিত্রিত করে এবং প্রায়শই তাদের নিজস্ব অস্ত্র প্রদর্শন এবং অন্যান্য হুমকি দেয়ার উপলক্ষ হিসেবে ব্যবহার করে।

এই বছর উত্তর কোরিয়া ৩০টিরও বেশি উৎক্ষেপণ চালিয়েছে; এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্যবস্তু করে উদ্ভাবিত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো। অন্যান্য পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়াতে স্বল্প-পাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারাও বলেছেন, উত্তর কোরিয়া যেকোনো মুহূর্তে সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে পারে। আর তা করলে কোরীয় উপদ্বীপে নাটকীয়ভাবে উত্তেজনা বাড়বে। ২০১৭ সালের পর থেকে উত্তর কোরিয়া আর কোনো পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়নি।

দক্ষিণ কোরিয়ার নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্র নেই, তবে সুরক্ষার জন্য দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের ‘পারমাণবিক ছাতার’ ওপর নির্ভর করে। দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার সেনা রয়েছে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা