ইউক্রেনের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে আরো সমস্যা

ইউক্রেনের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে আরো সমস্যা

সংগৃহীত

ইউক্রেনের ঝাপোরিজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনো রাশিয়ার দখলে। কেন্দ্রটির ভেতরে রাশিয়ার সেনা লুকিয়ে আছে বলে অভিযোগ। ভেতর থেকেই তারা লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার একাধিকবার ওই পরমাণু কেন্দ্রের বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে এর কারণ জানানো হয়নি। তবে ঘটনাটি নিয়ে চিন্তিত সবপক্ষই। ইউক্রেনের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটল।

ইউক্রেনের একটি সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাশিয়ার বোমাবর্ষণে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি লাইনের ক্ষতি হয়। তার জেরেই নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর থেকে ওই লাইনগুলোকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। ইউক্রেনের দাবি, অন্তত দুইবার এমন ঘটনা ঘটেছে। বস্তুত, এর আগেও ওই কেন্দ্রে বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত পরমাণু রিঅ্যাক্টর অক্ষত আছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন, দুই পক্ষই একে অপরের ওপর দায় চাপিয়েছে ঝাপোরিজিয়ায় বিস্ফোরণ নিয়ে

বুধবার ৩১তম স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে ইউক্রেন। ওই দিন ইউক্রেনের দুই জায়গায় রাশিয়া মিসাইল হামলা চালিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার রাতে ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার বক্তব্য, রাজধানী কিয়েভের উত্তর দিকে রাশিয়া মিসাইল হামলা চালিয়েছে। তবে চ্যাপলিন স্টেশনের হামলায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। জেলেনস্কির দাবি, সেখানে পরপর দুইবার হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। প্রথম হামলায় একটি বাড়ি ধ্বংস হয়। সেখানে এক বালকের মৃত্যু হয়। পরের হামলা হয়েছে স্টেশনে। এখনো পর্যন্ত সেখানে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। লাশ উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। নিহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা আছে।

রাশিয়া বৃহস্পতিবার ওই হামলার কথা স্বীকার করেছে। তবে তারা জানিয়েছে, স্টেশনে সে সময় কেবলমাত্র ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ছিল। তাদের লক্ষ্য করেই মিসাইল ছোড়া হয়েছিল। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন টুইট করে বলেছেন, এই ঘটনা আবার প্রমাণ করে দিলো রাশিয়া কী ধরনের অনাচার করছে।

রাশিয়া ইউক্রেনজুড়ে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করছে বলে সম্প্রতি একটি রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে। ওই বোমার আঘাতেই শত শত বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে বেসামরিক ভবন, স্কুল, চার্চ। ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার না করার একটি কনভেনশন হয়েছিল। ১১০টি দেশ সেখানে সই করেছিল। কিন্তু রাশিয়া বা ইউক্রেন কেউই তাতে সই করেনি। সেই ক্লাস্টার বোমাই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যবহার করছে। এই বোমার সাহায্যে একইসাথে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটানো যায়।

সূত্র : ডয়েচে ভেলে