খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতায় নিজেই মাঠ ছেড়ে প্রশংসায় ভাসছেন ফখর

খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতায় নিজেই মাঠ ছেড়ে প্রশংসায় ভাসছেন ফখর

সংগৃহীত

টুর্নামেন্ট হারলে ক্ষতি নেই, তবে ভারতকে হারালেই চলবে। ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামলে জাতীয় দলের কাছ থেকে পাকিস্তান সমর্থকদের চাহিদা থাকে কার্যত এরকমই। প্রত্যাশার বিপুল চাপ সাথে নিয়ে মাঠে নামতে হয় বলেই ক্রিকেটারদের অনেক সময় ছল-চাতুরির আশ্রয় নিতে দেখা যায়।

রোববার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফখর জামান অবশ্য কোনো রকম ছল-চাতুরির রাস্তায় হাঁটলেন না। বরং খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতার চূড়ান্ত নিদর্শন পেশ করেন তিনি।

এশিয়া কাপের উত্তেজক ম্যাচে টস জিতে পাকিস্তানকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় ভারত। ইনিংসের ৫.৫ ওভারে আবেশ খানের শর্ট বলে ব্যাট চালান ফখর। বল চলে যায় উইকেটকিপার দীনেশ কার্তিকের দস্তানায়।

বল যে ফখরের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে কার্তিকের দস্তানায় জমা পড়েছে, সেটা বুঝতে পারেননি কেউই। বোলার-উইকেটকিপার কারো মধ্যেই কোনো হেলদোল ছিল না। দর্শকদের চিৎকারে ব্যাটে বল লাগার কোনো আওয়াজ শোনা যায়নি। আম্পায়ারও কোনো তৎপরতা দেখাননি। তবে ফখর বুঝতে পারেন বল তার ব্যাটে লেগেছে। তাই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করেই ক্রিজ ছেড়ে হাঁটা লাগান তিনি।

মাত্র ১০ রান করে আউট হলেও ফখরের খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা প্রশংসিত হচ্ছে ক্রিকেটমহলে। সঙ্গত কারণেই নেটিজেনদের আলোচনায় চলে আসেন পাক তারকা।

পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে শুরুতে ব্যাট করে ১৯.৫ ওভারে ১৪৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। মোহম্মদ রিজওয়ান দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪৩ রান করেন। বাবর আজম ১০ রান করে মাঠ ছাড়েন। ২৮ রান করেন ইফতিকার আহমেদ। এছাড়া হারিস রউফ ১৩ ও শাহনওয়াজ দাহানি ১৬ রানের যোগদান রাখেন।

ভারতের হয়ে ভুবনেশ্বর কুমার ২৬ রানে ৪টি উইকেট নেন। হার্দিক পান্ডিয়া ২৫ রান খরচ করে তুলে নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া ২টি উইকেট নেন অর্শদীপ সিং এবং ১টি উইকেট পকেটে পোরেন আবেশ খান। যুজবেন্দ্র চাহাল ও রবীন্দ্র জাদেজা কোনও উইকেট পাননি।
কম রান করেই পাকিস্তান বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি করে। ভারত ২ বল বাকি থাকতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস